রঞ্জি ট্রফিতে একটি নজরকাড়া ইনিংস খেল﷽লেন ওড়িশা দলের তরুণ ক্রিকেটার শুভ্রাংশ সেনাপতি। রীতিমতো হাবুডুবু খাওয়ালেন মধ্যপ্রদেশের বোলারদের। শুধু শতরান নয়, করলেন দ্বিশতরানও। ৪৮৭ বল খেলে তিনি করেন ২৭৭ রান যার মধ্যে রয়েছে ১৯টি বাউন্ডারি এবং ১১টি ওভার বাউন্ডারি। ম্যাচের সেরা হন তিনি। তবে এই ম্যাচটি ড্র হয়। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশেরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের তরফ থেকে আসে দুর্দান্ত ইনিংস ও বিধ্বংসী বোলিং। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে এই ইনিংসের পর নির্বাচকদের নজরে একটি জায়গা করে নিয়েছেন শুভ😼্রাংশু।
এদিন ছিল চতুর্থ দিনের খেলা। ৬ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৩১৮ রানের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মধ্যপ্রদেশের। হর্ষ গাওলির ২৭৬ বলে ১৬৭ রানের একটি দুর্ধর্ষ রানের ইনিংসের সুবাদে ফলোঅন বাঁচাতে সফল হয় মধ্যপ্রদেশ। এরপর ফের ব্যাট করতে নেমে চার উইকেটে ২৯১ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় তারা। এবার শতরানের ইনিংসে দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিমাংশু মন্ত্রীর ব্যাট থেকে। জবাবে রান তাড়া করার লক্ষ্যে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তোꦉলে ওড়িশা। তবে এই ম্যাচে দুই দলের বোলারদের মধ্যে, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রভাব ফেলতে সফল হয়েছেন সুনীল রাউল। প্রথম ইনিংসে তিনি নেন পাঁচটি উইকেট। প্রথমদিকে রীতিমত কোমর ভেঙে দেয় মধ্যপ্রদেশের ব্যাটিং অর্ডারের।
শুভ্রাংশুর জন্ম হয় ১৯৯৬ সালে ওড়িশার কেন্দুঝারে। ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের স্বপ্ন ছিল ছোট থেকেই ক্রিকেটার হয়ে ওঠার। বর্তমানে তিনি ওড়িশা দলের হয়ে খেলছেন। দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দিচ্ছেন তিꦅনি। শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংও করতে পারেন তিনি। গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংস দলেও ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুভ্রাংশু সেনাপতির এই ইনিংস সোশ্যাল মিডিয়া🌳তে ছড়িয়ে পড়ার পর ক্রিকেটপ্রেমীরা কমেন্ট দ্বারা প্রকাশ করেছেন নিজেদের মত। অধিকাংশেরই বক্তব্য যে শীঘ্রই জাতীয় দলে হয়তো খেলতে দেখা যেতে পারে ওড়িশার এই তরুণ ক্রিকেটারকে। আবার অনেকে মনে করছেন যে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ছত্রছায়ায় থেক﷽ে এমন খেলার উন্নতি হয়েছে শুভ্রাংশুর। তবে একই সাথে অনেকে প্রশংসা করেছেন সুনীল রাউলেরও। এবার দেখার বিষয় দু'জনের মধ্যে কে আগে জায়গা করতে পারে জাতীয় দলে। নাকি দুজনেই একস করবেন অভিষেক? কি হবে আগামীদিনে? যদিও সামনেই রয়েছে আইপিএল। এখানে যদি শুভ্রাংশ সেনাপতি ভালো পারফর্ম করতে পারেন তাহলে পাকা হতে পারে নীল জার্সিতে খেলা।