রশিদ খানের বোলিং দক্ষতার কথা সবাই জানেন। তাঁর ব্যাটের হাতও নিতান্ত মন্দ নয়। মাঝে মধ্যেই ব্যাট হাতে বড় শট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের চমকে দেন তিনি। তবে আফগান তারক🐻া কত ভালো ফিল্ডার, তাঁর প্রমাণ দিলেন আরও একবার। রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে অনবদ্য ফিল🌄্ডিং করেন রশিদ খান।
বিশেষ করে উমেশ যাদবের বলে সানরাইজার্স তারকা এডেন মার্করামের যে ক্যাচটি ধরেন রশিদ, ত𝓀াকে এককথায় অসাধারণ বলতেই হয়। অবশ্য আইপিএলের আসরে ফিল্ডিংয়ে রং ছড়ানোর নজির রশিদের এই প্রথম নয়। এর আগেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে অসাধারণ সব ক্যাচ ধরেছেন ত𒐪িনি। আরও একবার নিজের ফিল্ডিংয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মোহিত করলেন রশিদ।
মোতেরায় সানরাইজার্স ইনিংসের ১৫তম ওভারে মার্করামের দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ ধরেন রশিদ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঠিক আগের ওভারে প্ꦐরতিপক্ষ দলের সব থেকে ভয়ঙ্কর ব্যাটার এনরিখ ক্লাসেনকে অনবদ্য ডেলিভারিতে বোল্ড করেন তিনি। সুতরাং, পরপর ২ ওভারে রশিদ খান বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে নিজের উৎকর্ষতার প্রমাণ দেন।
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন এনরিখ ক্লাসেন। তিনি কেকেআরের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৮টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৬৩ রান করেন। পরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৮০ রানের ধ্বংসাত্মক ইন⛄িংস খেলে অপরাজিত থাকেন☂।
এমন ধ্বংসাত্মক মেজাজেরꦑ ব্যাটার যতক্ষণ ক্রিজে থাকবেন, প্রতিপক্ষ দলের পক্ষে নিশ্চিন্ত হওয়া সম্ভব নয়। তবে 🍸রশিদ খান টাইটানসের যাবতীয় দুশ্চিন্ত দূর করেন। ১৩.৪ ওভারে রশিদের বলের লাইন বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ক্লাসেন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন।
পরে ইনিংসের ১৪.৪ ওভারে উমেশ যাদবের লেনথ বলে অন-ড্রাইভের চেষ্টা করেন মার্করাম। তবে শটে নিয়ন্ত্রণ ছিল না। বল হাওয়ায় ভেসে যায়। রশিদ দড়ে এসে শরীর ফেলে ক্যাচ ধরে নেন। মার𝓡্করাম ১৯ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া ১৯.৩ ওভারে মোহিত শর্মার বলে ওয়াশিংটন সুন্দরের ক্যাচটিও তালুবন্দি করেন রশিদ।