শুভব্রত মুখার্জি: এই মুহূর্তে আফগানিস্তান ক্রিকেটের মুখ বলা চলে রশিদ খানকে। আফগান এই স্পিনার গোটা বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে ক্রিকেটটা খেলে বেড়াচ্ছেন। জাতীয় দল তো বটেই, বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও খেলে বেড়াচ্ছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ হোক কিংবা আইপিএল🌳, সব লিগেই বেশ জনপ্রিয় মুখ তিনি। তবে এবার সেই বিগ♛ ব্যাশ লিগেই একেবারে না খেলার হুমকি দিয়েছেন রশিদ।
তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘টাকা আসবে-যাবে, আমার দেশের চেয়ে বড় কিছু না।’ ঠিক কী হয়েছে ঘটনﷺা? কী কারণেই বা হঠাৎ এমন হুমকি দিলেন রশিদ খান? সম্প্রতি আফগানিস্তানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার পরেই বিগ ব্যাশে নিজের খেলার সম্ভাবনার প্রসঙ্গে এই কথা জানিয়েছেন রশিদ খান।
আরও পড়ুন: পাগল নাকি? মুকেশের উপর বেজায় চটলেন কুলদীপ, পরিস্থিতি সাম🦋লাতে ছুটে ꦗআসতে হল পন্তকে- ভিডিয়ো
আফগানিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া খেলতে না চাইলে, কেন তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার লিগে খেলতে বলা হচ্ছে, এই প্রশ্নও তুলেছেন দꦅলের অন্যতম সেরা স্পিনার। প্রসঙ্গত তালিবানশাসিত আফগানিস্তানে মহিলাদের মানবাধিকারের ‘অবনতি’র কারণ দেখিয়ে আফগানদের বিপক্𝓰ষে ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ঘটনাচক্রে ২০২১ সালে একটি টেস্টও তারা এই ভাবে স্থগিত করেছিল। এরপর ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ফলে বলা যায়, টানা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ বাতিলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে অজিরা।
চলতি 🍬আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলছেন রশিদ খান। বিষয়টি নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া তিনি দিয়েছেন ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি খুব কষ্ট দেয়। আপনি সেরা দলগুলোর বিপক্ষে সব সময় খেলতে চাইবেন। কারণ এতে আপনার ক্রিকেটের উন্নতি ঘটবে। তাদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ শুধু বিশ্বকাপেই পাওয়া যায়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজও খুব খুব কম হয়। তার উপর এই ভাবে সিরিজ স্থগিত হওয়া খুব দুঃখজনক। ক্রিকেটার হিসেবে খুব বেশি কিছু করার নেই আমার। এই বিষয়টি সমাধান করা সরকারের বিষয়। তবে আমাকে যা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে, তা হল এমন কিছু (সিরিজ স্থগিত হলে) ঘটলে, তা আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে সরাসরি আঘাত করছে। বিষয়টি যদি সরকারের হাতেই থাকে, তাহলে ক্রিকেটকে আঘাত করছে কেন? কেন ক্রিকেটের উপর বিষয়টি আসছে? ক্রিকেট কি এগুলোর সমাধান করতে পারবে? আমার মনে হয় যদি ক্রিকেট এগুলোর সমাধান করতে পারে, তাহলে ঠিক আছে। তাহলে আমি খুশি হব।’
বিষয়টি নিয়ে রশিদ আরও বলেন, ‘মনের মধ্যে অনেক কিছুই রয়েছে। অনেক চিন্তা মাথায় আসছে। যেমন ধরুন, যদি আমার দলের বিপক্ষে খেলতে না চান, তাহলে কেন চান যে, আমি আপনাদের দেশে গিয়ে খেলি? তাহলে তো আমার আপনাদের দেশে প্রবেশের এবং ক্রিকেট খেলার অনুমতি না থাকার কথা তাই না? আপনি আমার সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে 🃏চান না, আর আমার সঙ্গে খেলতে চান! এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী? এর পরও যদি আমি খেলি, তাহলে এর মানে তো আমি আমার সতীর্থদের অসম্মান করছি। দেশেরও মর্যাদ🗹াহানি করছি।’