শুভব্রত মুখার্জি: ১৭ মার্চ, ২০২৪- এই দিনটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ২০০৮ সাল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ আইপিএলে ভালো দল গড়ে খেলেও এখনও শিরোপা জয় অধরা রয়ে গিয়েছে বিরাট কোহলিদের। আর অন্যদিকে ডব্লুপিএলের দ্বিতীয় মরশুমেই শিরোপা জিতে নিয়েছে স্মৃতি মন্ধানার নেতৃত্বাধীন আরসিবি। রবিবাসরীয় রাতে এক টানটান উত্তেজনার ম্যাচে বাজিমাত করেছেন রিচা ঘোষ, এলিসে পেরি, সোফি মোলিনাক্সরা। ম্যাচে আরসিবি-র নায়িকা নিঃসন্দেহে তাদের স্পিনার সোফি মোলিনাক্স। এক ওভারে তিন তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। আর এর পর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আরসিবি-কে। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচের সেরাও হয়েছেন সোফি। আর এর প𓃲রেই তিনি জানিয়েছেন, ‘দিল্লি ভালো দল, জানতাম ম্যাচ শেষ পর্যন্ত যাবে। তবে আমরা খুশি যে ট্রফিটা আমরা জ𓆉িততে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: ১৬ বছরে কোহলি-ফ্যাফরা পারেဣননি, দ্বিতীয় বছরেই নজির স্মৃতিদের, দিল্লিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ব্যাঙ্গালোর
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়ার পরে সোফি বলেছেন, ‘অসাধারণ🐲 একটা ম্যাচ ছিল। সব সময়ে ফাইনাল ম্যাচগুলি মজার হয়। এখানে আমরা জানতাম যে, ম্যাচটা একেবারে শেষ পর্যন্ত যেতে পারে। বাস্তবে তাই হয়েছে। ডিসি (🅺দিল্লি ক্যাপিটালস) খুব ভালো দল। ওরা একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। ম্যাচটা জিততে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই আমরা খুব খুশি। আমার যেটা মনে হয়েছে তা হল, এদিনের ম্যাচে আমি খুব স্লো বল করেছি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন করা ভুল থেকেই শিখতে হবে। আমিও তা করেছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই পুরস্কারটা খুব স্পে⛎শ্যাল আমার কাছে (ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার)। আমাকে যে আরসিবি দলে নিয়েছে, তাও আবার দীর্ঘ দিন ক্রিকেট না খেলার পরেও, তার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ডব্লুপিএল একটা অনবদ্য প্রতিযোগিতা। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। যত সময় যাচ্ছে, তত এই টুর্নামেন্ট আরও আরও বেশি করে শক্তিশালী হচ্ছ🔯ে। তাই এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’
আরও পড়ুন: যে কোনও মূল্যেই কোহলিকে ⛎T20 WC-এর দলে চাই- BCCI সচিবকে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত
এদিন ম্যাচে সোফি মোলিনাক্স বল হাতে চার ওভার বল করেছেন। দিয়েছেন ২০ রান। নিয়েছেন তিন তিনটি গুরুত্🅘বপূর্ণ উইকেট। দিল্লি যখন ম্যাচে দুরন্ত শুরু করে, আরসিবির হাতের বাইরে তারা ম্যাচটি নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল, তখন এক ওভারেই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে তাদেরকে জোড় ধাক্কা দেন সোফি ম🐻োলিনাক্স। সেই ধাক্কা সামলে ম্যাচে আর কামব্যাক করতে পারেনি দিল্লি। ৭.১ ওভারে সোফি ফেরান শেফালি বর্মাকে। ঝোড়ো ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শেফালি। এর পর ৭.৩ ওভারে দিল্লি হারায় জেমিমা রডরিগেজকে। ৭.৪ ওভারে আউট হয়ে যান এলিস ক্যাপসি। বিনা উইকেটে ৬৪ রান থেকে, ৬৫ রানেই তিন উইকেট হারায় দিল্লি। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ১১৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। রান তাড়া করতে নেমে ১৯.৩ ওভারেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে ডব্লুপিএলের শিরোপা জেতে আরসিবি দল।