ট্র্যাভিস হেড এবং এনরিখ ক্লাসেনের দাপটে একেবারে কেঁপে যান রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বোলাররা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ🐬 ৩ উইকেটে ২৮৭ রান তোলে, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর। দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্স ৪৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে আরসিবি-কে চাপে ফেলে দেয়। বেঙ্গালুরুর ইনিংস ৭ উইকেটে ২৬২ রানে থেমে যায়। ২৫ রানে হারেন বিরাট কোহলিরা।
🍨ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের হাই-স্কোরিং ম্যাচ জেতার পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তবে একটি বিষয় নিয়ে তাঁর বড় আফসোস ছিল। আসলে সোমবারের ম্যাচে রানের ফোয়ারা দেখার পর, কামিন্স আফসোস করেছেন, তিনি ব্যাটার নন বলে।
‘যদি ব্যাটার হতাম’
𝄹কামিন্স বলেন, ‘ইস! আমি যদি ব্যাটার হতাম! ক্রিকেটের অসাধারণ ভাগ। আশ্চর্যজনক দৃশ্য। আমাকে আরও কয়েক বছর দিন, প্লিজ। তুমি তোমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবে। যদি তুমি এক ওভারে সাত বা আট ওভার পান দাও. তুমি ম্যাচে একটি প্রভাব ফেলার চেষ্টা করবে। আমি পিচের চরিত্র বোঝার চেষ্টা করাটাই ছেড়ে দিয়েছি। চিন্নাস্বামীর পিচ দেখে শুষ্ক মনে হয়েছিল। এই নিয়ে চার ম্যাচে জয় এল। সত্যিই খুব খুশি।’
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
🎃এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ট্র্যাভিস হেড। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন অভিষেক শর্মা। হেড-অভিষেক মিলে ওপেনিং জুটিতেই ১০৮ রান করেন। ২২ বলে ৩৪ করে অভিষেক আউট হলেও, ঝোড়ো শতরান হাঁকান হেড। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করে তিনি এদিন ইতিহাস লিখে ফেলেন।
🎃সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্লেয়ার হিসেবে এটি আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। এবং আইপিএলের ইতিহাসে সামগ্রিক ভাবে এটি চতুর্থ দ্রুততম শতরান। ৯টি চার এবং ৮টি ছক্কার হাত ধরে হেড শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
আরও পড়ুন: 𓆏BCCI-এর উচিত RCB-কে অন্য মালিকের কাছে বেচে দেওয়া- বেঙ্গালুরুর হাল দেখে ক্ষোভ উগরালেন ভূপতি
🉐এর পরেও অবশ্য থামেনি হায়দরাবাদের ঝড়। এনরিখ ক্লাসেন ক্রিজে এসেই পেটাতে শুরু করেন। ৭টি ছক্কা এবং ২টি চারের হাত ধরে ৩১ বলে ৬৭ করেন ক্লাসেন। এর পর ১৭ বলে অপরাজিত ৩২ করেন এডেন মার্করাম। ১০ বলে ঝোড়ো ৩৭ করে অপরাজিত থাকেন আব্দুল সামাদ। যার নিটফল, আইপিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের নজির ফের গড়ে ফেলে হায়দরাবাদ।
🅺রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি শুরুটা খারাপ করেনি। ৮০ রানের মাথায় তারা প্রথম উইকেট হারায়। ২০ বলে ৪২ করে সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। এর পরই চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে ১২২ রানের মধ্যে তারা ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। ২৮ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফ্যাফ ডু'প্লেসি আউট হলে চাপ বাড়ে। তবে ছয়ে নেমে দীনেশ কার্তিক ঝড় তোলেন। এতে বেঙ্গালুরু অক্সিজেনও পায়। ৩৫ বলে অরাজিত ৮৩ রান করেন কার্তিক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২৫ রানে ম্যাচটি হারে আরসিবি। এই নিয়ে এবার আইপিএলে সাত ম্যাচ খেলে ছ'টিতেই হেরে বসলেন ফ্যাফ-কোহলিরা। মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে তাঁরা।