জসপ্রীত বুমরাহের নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া আয়ারল্যান্ড সফরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ𒊎টি জিতে সিরিজটি দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেছে। ১১ মাস পর ফিরে আসা বুমরাহ শুধু প্রথম ওভারেই ২ উইকেট নেননি, তার অধিনায়কত্বে প্রথম ম্যাচেই ভারতীয় দল জিতেছে। দুই ভারতীয় খেলোয়াড় রিংকু সিং এবং প্রসিধ কৃষ্ণা এই ম্যাচ থেকে তাদের T20 আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন। এই ম্যাচের মাধ্যমে তাদের আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি কেরিয়ারে অভিষেক হয়েছে। প্রথম টি-টোয়েন্টি চলাকালীন, রিঙ্কু সিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কিরণ মোরে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ভেস্তে যাওয়ায় রিংকু সিং ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও, মোরে আশাবাদী যে কেকেআর-এর ব্যাটসম্যান অবশ্যই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁর চমক দেখাবেন। কিরণ মোরে আরও বলেছেন যে ধোনি বা যুবরাজের মতো টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ভারতღের পরবর্তী ফিনিশার হতে পারেন রিঙ্কু সিং।
আইপিএল ২০২৩-এ তার শক্তিশালী পারফরম্যান্সের কারণে লাইমলাইটে আসা রিঙ্কু সিং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে জায়গা পাননি। কিন্তু এখন তিনি আয়ারল্যান্ড সফরে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছেন। পাশাপাশি এশিয়ান গেমসের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে রিংকু সিংকে। প্রথম টি-টোয়েন্টি চলাকালীন জিও সিনেমায় কথা বলতে গিয়ে কিরণ মোরে বলেছিলেন, ‘আমি𒆙 ভারতীয় দলে তাঁর সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছি। এবং তিনি পাঁচ বা ছয় নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ভালো করবেন এবং দুর্দান্ত ফিনিশার হয়ে উঠবেন। আমরা সকলেই এমএস ধোনি এবং যুবরাজ সিংকে দেখেছি। তারপর থেকে আমরা এমন খেলোয়াড় দেখতে পাইনি। আমরা এই ধরনের খেলোয়াড় তৈরি করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাতে সফল হয়নি। তিলক বর্মাও এই তালিকায় রয়েছেন, ত🌠িনিও সেই চরিত্রে পারফর্ম করতে পারেন। রিংকু একজন ভালো ফিল্ডারও। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাঁকে দেখেছি, সে অনেক উন্নতি করেছে।’
রিংকু সিং পাঁচ নম্বর এবং ছয় নম্বর ব্যাটসম্যান হিসাবে আইপিএল ২০২৩-এ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। রিংকু আইপিএলের ১৩ ইনিংসে ৪১৬ রান করেছিলেন। যার মধ্যে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রিঙ্কুর স্ট্রাইক রেট ছিল সর্বোচ্চ ১৮৬.৬৭ এবং ডেথ ওভারে ৭৫ বা তার বেশি বল খেলা শীর্ষ ১২ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হেনরিখ ক্লাসেন (১৮৭.৩৬) থেকে ঠিক পিছনেই রয়েছেন। ডেথ ওভারে বড় হিট মারার ক্ষমতা রয়েছে রিংকু সিংয়ের। এটাই তাঁর বিশেষত্ব। তিনি প্রতি ৩.৬ বলে একটি চার এবং প্রতি সাত বলে একটি ছক্কা মেরেছিলেন। রিংকু ৯ এপ্রিল ২০২৩-এ গুজর𒀰াট জায💟়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলায় কেকেআর দলের লক্ষ্য তাড়া করার জন্য শেষ ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা মেরে জিতিয়ে ছিলেন। শেষ ওভারে KKR-এর প্রয়োজন ছিল ২৯ রান এবং যশ দয়ালের বলে টানা পাঁচটা ছক্কা মেরে লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন রিঙ্কু সিং।