রবিবারের ভারত-পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পরের দিনই, ফের নিউইয়র্কে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলল দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশের মধ্যে। রবিবার পাকিস্তান পারেনি। এদিন তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে টানটান উত্তেজনার নাটকে পিছিয়ে পড়ল টাইগাররা। মাত্র ৪ রানে হারতে হল শাকিব আল হাসানদের।
জিততে হলে শেষ ১২ বলে ১৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারে হয় ৭ রান। যার ফলে শেষ ৬ বলে ১১ রান দরকার ছিল তাদের। কিন্তু কেশব মহারাজ বল করতে এসে চাপে ফেলে দেন টাইগারদের। প্রথম ২ বলে অবশ্য ওয়াইড সহ চার রান হয়েছিল। জিততে তখন ৪ বলে ৭ রান দরকার ছিল টাইগারদের। এই পরিস্থিতিতে একটি বড় শট খেলতে হত বাংলাদেশকে। কিꦏন্তু তৃতীয় বলেই জাকের আলিকে (৯ বলে ৮ রান) ফেরান মহারাজ।♑ এখানেই ম্যাচের রং কিছুটা বদলে যায়।
এর পর চতুর্থ বলে হয় ১ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে ফের উইকেট পড়ে বাংলাদেশের। মাহমুদুল্লাহকে (২৭ বলে ২০) আউট করে দেন ಌকেশব মহারাজ। তাও শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলে বাংলাদেশের জেতার সুযোগ ছিল। কিন্তু ষষ্ঠ বলে ১ রান দেন মহারাজ। ৪ রানে ম্যাচটি হারে বাংলাদেশ। এদিকে পরপর তিন ম্যাচ জিতে সুপার আটে জায়গা কার্যত পাকা করে ফেলল প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: পাক ফিল্ডিংয়ের দুরবস্থা দেখে হেস♏ে গড়াল রোহিত, হাসি চাপার ব্যর্থ চেষ্টা কোহলির-🎀 ভিডিয়ো
সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তারা নড়বড় করছিল। পাওয়ার প্লে-তেই তানজিম হাসান শাকিবের দাপটে মাত্র ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে 🔜তারা কোনও মতে টেনেটুনে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করে। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তানজিদ। ২ উইকেট🐼 নিয়েছেন তাসকিন এবং ১ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন।
প্রথম ওভারেই তানজিম হাসানের বলে রেজা হেন্ড্রিক্স গোল্ডেন ডাক করে এলবিডব্লিউ হন। তৃতীয় ওভারে কুইন্টন ডি'কক ১১ বলে ১৮ করে তানজিমের বলে বোল্ড হন। এর পর এডেন মার্করামকে বোল্ড করে✃ন তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ৮ বলে ৪ করে তিনি আউট হয়ে যান। পঞ্চম ওভারে ত্রিস্তান স্টাবসকে (৫ বলে ০) ফেরান তানজিম। তখন প্রোটিয়াদের হাল দেখে মনে হচ্ছিল, ১০ ওভারও হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গড়াবে না।
আরও পড়ুন: এক ꧒বছর আগে যারা আমাকে বলেছিল, ক্যারিয়ার শেষ, তাঁরাই এখন… নিন্দুকদের সপাটে 🦋জবাব বুমরাহের
কিন্তু পঞ্চম উইকেটে এনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার মিলে দলের হাল ধরেন। জুটিতে তাঁরা ৭৯ রান করেন। সেই সৌজন্যেই✃ একশো রানের গণ্ডি টপকায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিছুটা মান বাঁচে প্রোটিয়াদের। ২টি চার, তিনটি ছক্কার হাত ধরে ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন। ৩৮ বলে ২৯ করেন মিলার।
তবে এই ১১৩ রান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রোটিয়াদের সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে তারা ১১৬ রান করেছিল। 🌜১৭ বছর আগের সেই রেকর্ড এদিন ভেঙে দিল প্রোটিয়ারা। এছাড়াও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা টি২০-তে সর্বনিম্ন স্কোর করার নজির গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মির🐈পুরে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৪৮ রান।
আরও পড়ুন: বিশ্বাস হারেনি… উইন প্রেডিকটরে 🦂ভারতের ৮% জয়ের সম্ভাবনার স্ক্রিনশট শেয়ার করে বার্তা পন্তের
তবে নিউইয়র্কের পিচে ১১০ রান পার করাটাই কতটা কঠিন হতে পারে, সেটা দেখা গিয়েছে রবিবারের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকাও প্রথম দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা এবং নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যথাক্রমে ৭৫ এবং ১০৩ রান পার করতে হিমশিম খেয়েছিল। তাই বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জটাও কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশ লড়াই থেকে সরে আসেনি।ಌ তবে শেষ রক্ষাও করতে পারেনি।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশেরও শুরুটা কিন্তু ভালো হয়নি। জানসেন প্রথম ওভারে ১ রান দেন। দ্বিতীয় ওভারের কাগিসো রাবাদা বল করতে এসে প্রথম ধাক্কা দেন বাংলাদেশকে। তানজিদ হাসানকে (৯ বলে ৯ রান) ফেরান তিনি। তবে পাওয়ার প্লে-তে আর কোনও উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু সেভাবে রানও ওঠেনি। বাংলাদেশ মাত্র ৬ ওভারে ২৯ রান করে। তবে এর পর বাংলাদেশের ব্যাটাররা কেউ সেভাবে ক্রিজে টিকতে পারেননি। শ𝓡ুরু হয়ে যায় উইকেট পতনের পালা। নাজমুল হোসেন (১৪), লিটন দাস (৯), শাকিব আল হাসౠান (৩) পর পর আউট হন।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ। সেটা খুব বেশি স্থায়ী হয়েছে, তা নয়। তবে দু'জনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তৌহিদ ফেরার পর চাপ আরও বাড়ে বাংলাদেশের। শেষ দুই ওভারে হল পুরো নাটক। তবে শেষ পর্যন্ত চার রানে হারতে হয় টাইগারদের। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন কেশব মহারাজ। ২টি করে উইকেট নিয়েছ🀅েন কাগিসো রাবাদা এবং এনরিখ নরকিয়া।