আইপিএলে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। টি২০ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন রাজস্থান রয়্যালস দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার তথা অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি এবারে টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর থেকেই বহু দিক থেকে কথা আসছে। কিন্তু সঞ্জুকে নিয়ে প্রশ্ন করার জায়গায় নেই কেউ। বরং সমর্থনই করছেন তাঁকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। স্রেফ বেঞ্চ গরম করতে নয়, এই মূহূর্তে স্যামসনের যা পারফরমেন্স তাতে তিনি প্রথম একাদশেই সুযোগ পাওয়ার অন্যতম দাবিদার। ৯ ম্যাচে ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ৩৮৫ রান। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হলেও মেন ইন ব্লুজদের ড্র♔েসিং রুমে সঞ্জুর আনা গোনা ছিল অনিয়মিত। কখনও সুযোগ পেতেন, কখনও তাঁর দিকে ফিরেও তাকাতেন না নির্বাচকরা। এমন বহু ক্ষেত্রেই হয়ে দু-একটা ম্য়াচে পারফর্ম করতে না পারায় তাঁকে ছেটে ফেলা হয়েছে। সেই লড়াইয়ের গল্পইল এবার বললেন তিনি।
আরও পড়ুন-IPL 2024- বিরাটের🍌 স্ট্রাইক রেট নিয়ে টানা বিতর্ক, বেজায় চ🍨টেছেন প্রাক্তন সতীর্থ
আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থা আয়োজিত ক্যাপটেনস শোতে এসে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলছেন, ‘ তুমি বিশ্বের সেরা দলের হয়ে ক্রিকেট খেলছ। আর ভারতেই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। ফলে 𝓀লড়াইটা যথেষ্টই কঠিন। কেরলের মতো জায়গা থেকে উঠে এসে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে গেলে স্পেশাল কিছু করে দেখাতে হয়’।
আরও পড়ুন-IPL 2024- বিরা💧টের স্ট্রাইক রেট নিয়ে টানা বিতর্ক, বেজায় চটেছেন প্রাক্তন সতীর্থ
টি২০তে সুযোগ পাওয়ার ৬ বছর পর এসেছিল একদিনের ক্রিকেটে ফরম্যাটে সুযোগ। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা করে নেওয়ার যাত্রাপথটা ঠিক কতটা কঠিন ছিল। ৯ বছরে দেশের জার্সিতে মাত্র ১💛৬টি একদিনের ম্যাচ এবং ২৫ টি২০ ম্যাচ খেলেছেন সঞ্জু। একদিনের ফরম্যাটে করেছেন ৫১০ রান। টি২০তে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৩৭৪ রান। তবে এই স🐈ংখ্যা দিয়ে মোটেই স্যামসনের প্রতিভা বিচার করা যাবে না, তা বলাই বাহুল্য।
নিজের লক্ষ্য নিয়ে সঞ্জু বলেন, ‘ আমি সব সময়ই চাই বিশেষ কিছু করে দেখাতে। কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হয়ে রুখে দাঁড়াতে। নিজের স্টাইলে ব্যাটিং করতে পছন্দ করি আমি। মাঝে মধ্যেই ভাবি যদি দলের প্রয়োজন হয় তাহলে ১০ বল কেন অপেক্ষা করব ছয় মারার জন্য? তাই প্রথম বলেও✤ প্রয়োজনে সেরকম শট খেলি। এই মানসিকতা নিয়েই আমি চলি। এটাই আমার শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের উদ্দেশ্য। আমি অনেক পরিশ্রম করে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমি অল্পতে খুশি নই। সব সময়ই চাই যে দলের হয়ে খেলি না কেন, নিজেকে উজার করে দিতে, ভালো কিছু করে দেখাতে’।
আরও পড়ুন-টানা পাঁচ ম্যাচে হার ধোনির দলের, অবাক কাণ্ড ঘট𒁃াল পঞ্জাব কিংস!
কেরল থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটারের বর্তমান যা পারফরমেন্স তাতে একটা কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, নিজের ছন্দ যদি ধরে রাখতে পারেন সঞ্জু, তাহলে আগামী কয়েক বছরে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। উইকেটরক্ষক হিসেবে না হলেও স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে তাঁকে খেলাতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ বিরাট পরবর্তী য𝕴ুগে ফার্স্ট এবং সেকন্ড ডাউনে কে আসবেন, সেই নিয়ে একটা সমস্যা থাকবেই। শ্রেয়স আইয়ার নিজেকে অতটাও মেলে ধরতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদব নিঃসন্দেহে ভালো, তবে একটা ব্যাক আপ রাখা ভালো যে চার নম্বরেও ব্যাট করতে পারে, ধৈর্য ধরতে পারে। বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার খবরেরই পরেই নিজের জীবনের লড়াইয়ের কথাই তুলে ধরেছেন সঞ্জু। সেখানেই রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক বলছেন, ক𒈔েরল থেকে উঠে আসতে গেলে অনেক কাঠখড়ই পোড়াতে হয়।