ভারতীয় দলে তিনি এখন সুযোগ না পে🐬লেও ক্রিকেট সমর্থকরা তাঁকে লর্ড নামেই ডাকেন। তিনি শার্দুল ঠাকুর। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গতবার বর্ডার গাভাসকর সিরিজে যথেষ্ট ভূমিকা ছিল তাঁর। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটেরও অসাধারণ লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিলেন এই মুম্বইকর ব্যাটার, যা দেখে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতায় মুগ্ধ সকলে।
ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারত একাদশের সঙ্গে খেলা চলছে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই দলের। সেই দলের হয়েই খেলছিলেন শার্দুল ঠাক🐼ুর। ১০২ জ্বর নিয়েই মাঠে নামেন তিনি। ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে তিনি সরফরাজ খানের সঙ্গে জুটি বেধে তোলেন ৭৩ রান। এর মধ্যে শার্দুল নিজে করেন ৩৬ রান। তবে দ্বিতীয় দিনের খেলার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ছুটতে হয়।
মঙ্গলবার দিন খেলার শুরুর কিছুক্ষণ পরেও তিনি জানিয়েছিলেন জ্বরের কথা। কিন্তু তাঁকে সেদিন খেলতে নামতে হয়নি। তবে বুধবার ঘন্টা দুয়েক মতো মাঠে নেমে খেলতেই লখনউয়ের গরম আবহাওয়ার শরীর আরও খারাপ হয়ে যায় তাঁর। ১০২ ডিগ্রি জ্বর দেখা যায়, এরপরই দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খেলা চলাকালীন দুবার বিরতি ♕নিয়ে দলের চিকিৎসকদের মাঠে ডেকেছিলেন শার্দুল। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জ্বর সত্ত্বেও ব্যাট করতে চেয়েছিলেন শার্দুল
মুম্বই ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তার কথায়, ‘ওর শরীর এমনিতেই ভালো ছিল না। গোটা দিনই জ্বর✅ ছিল। সেই কারণেই ওকে দেরিতে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল। ওর শরীর খুব দুর্বল ছিল তাই ওষুধ খেয়ে ড্রেসিং রুমেই শুয়েছিল। ওর ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গি টেস্টও করা হয়েছে। তবে এত জ্বর নিয়েও ও ব্যাট করতে আসতে চেয়েছিল, সেই জন্♔য ওকে পাঠানো হয়। ’।
৩৬ রানের ইনিংসেও ছিল বাউন্ডারি-ওভারবাউন্ডারি
১০২ জ্বর নিয়ে খেলেও নিজের ৩৬ রানের ইনিংসে ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন এই অলরাউন্ডার। ভারতীয় বোর্ড আগেই জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় দলে ঢুকতে গেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রম⭕াণ করে আসতে হবে। সেই জন্য তিনি কতটা মরিয়া হয়ে রয়েছেন, সেটাই বোঝা গেল শার্দুলের এই লড়াকু ইনিংসে। গত মরশুমে মুম্বইয়ের রঞ্জি জয়ের ক্ষেত্রে বড় অবদান ছিল তাঁর। গোটা ম্যাচেই তাঁর বোলিং সার্ভিস পাওয়া নিয়ে অবশ্য সংশয় দেখা দিয়েছে।