ܫ পৃথ্বী শ আগ্রাসী শুরু করেও নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন। ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু করেও মুম্বইয়ের টপ অর্ডারে হঠাৎই ধস নামে। অজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়স আইয়ার, মুশির খান, প্রথম ইনিংসে তিন তারকা ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করে শার্দুল ঠাকুর মান বাঁচালেন মুম্বইয়ের। বরং বলা ভালো যে, শার্দুলের জন্যই বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালের শুরুতেই কোণঠাসা হতে হল না মুম্বইকে।
🐻 তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মুম্বইকে টেনে তুলেছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ১০৬ রানে ৭ উইকেট হারানো মুম্বই সেমিফাইনালে ৩৭৮ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে শার্দুলের শতরানে ভর করে। সেই ম্য়াচে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শার্দুল ১০৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। এবার ফাইনালেও তার পুনরাবৃত্তি হল বলা যায়।
𓃲 ওয়াংখেড়ের ফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। পৃথ্বী শ ও ভূপেন লালওয়ানির ওপেনিং জুটিতে মুম্বই ৮১ রান তুলে ফেলে। তবে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পরেই ধস নামে তাদের প্রথম ইনিংসে। ভূপেন ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। পৃথ্বী ৬৩ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
🦩 তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ৬ রান করেন মুশির খান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে ৩৫ বলে ৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়স আইয়ার ১৫ বলে ৭ রান করে উমেশ যাদবকে উইকেট দেন। তিনি ১টি চার মারেন।
🔜 ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক তামোরে ৪১ বলে ৫ রান করেন। ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ১৩ রান করেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা শামস মুলানি। মুম্বই একসময় ১১১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা সপ্তম উইকেট খোয়ায় দলগত ১৫৪ রানে। তনুষ কোটিয়ান ১২ বলে ৮ রান করে আউট হন। ৩৪ বলে ১৪ রান করেন তুষার দেশপান্ডে।
♍ বিদর্ভের বোলারদের আগ্রাসনে হিমশিম খেতে থাকা মুম্বইয়ের ব্যাটিংকে একার হাতে টেনে নিয়ে যান শার্দুল ঠাকুর। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৬৯ বলে ৭৫ রান করে আউট হন শার্দুল। তিনি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। মুম্বই শেষমেশ প্রথম ইনিংসে ২২৪ রান তোলে।
𓆉 বিদর্ভের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন হর্ষ দুবে ও যশ ঠাকুর। ২টি উইকেট নেন উমেশ যাদব। আদিত্য ঠাকারে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন।