ঋষভ পন্ত কি তাহলেই চেন্নাই সুপার কিংসেই (সিএসকে) যাচ্ছেন? চেন্নাইয়ের প্রাক্তন তারকা সুরেশ রায়নার কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলল। যে পন্ত এবার দিল্লি ক্যাপিটালসের রিটেনশন তালিকায় নেই। ঠিক কী কারণে পন্ত থাকতে চাননি, তা সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন মহল থেকে নানারকম তত্ত্ব উঠে আসছে। একটি মহলের দাবি, অধিনায়কত্ব নিয়ে দিল্লি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে একই জায়গায় পৌঁছাতে পারেননি পন্ত। আবার অপর একটি মহলে জল্পনা চলছে যে পন্ত হ🧔য়তো নিজে নিলামে আসতে চেয়েছিলেন। নাহলে পন্তের মতো খেলোয়াড়কে কেন ছেড়ে দেবে দিল্লি? আর সেইসব কাঁটাছেড়ার মধ্যেই রায়না বলেন, ‘দিল্লিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল (গত মঙ্গলবার)। পন্তও ওখানে ছিল। কেউ একজন জলদিই হলুদ জার্সি পরবে।’
নিলামে ২৬ কোটি টাকার গণ্ডি টপকে যাবেন পন্ত?
রায়নার ইঙ্গিত যদি পন্তের দিকে হ👍য়, তাহলে চেন্নাইয়ের কাজটা সহজ হবে না। কারণ পন্ত যে আইপিএলের মেগা নিলামে আসছেন, তাতে সিলমোহর পড়ে যাওয়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে আইপিএলের ইতিহাসে কি সবথেকে দামি খেলোয়াড় হতে চলেছেন পন্ত? কারও কারও ধারণা, পন্তই প্রথম খেলোয়াড় হতে পারেন, যাঁর জন্য নিলামে ২৬ কোটি টাকারও দর হাঁকা হতে পারে। তৈরি করতে পারেন ইতিহাস।
কেন পন্তের দাম এত উঠতে পারে, সেটা সহজেই অ﷽নুমেয়। ভারতীয়, উইকেটকিপার, অধিনায়ক, মারকুটে ব্যাটার - যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি এরকম একজন খেলোয়াড়কে চাইবে। আর এবার তো আইপিএলে একাধিক দলের অধিনায়কের প্রয়োজন আছে। পঞ্জাব কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মতো দলের হাতে প্রচুর টাকাও পড়ে আছে। দিল্লির হাতেও ܫ‘রাইট টু ম্যাচ’ (আরটিএম) কার্ড রয়েছে। সবমিলিয়ে পন্তকে নিয়ে নিলামে জোরদার লড়াই হতে পারে বলে একাংশের মতে।
CSK কি আদৌও নিতে পারবে পন্তকে?
সেটাই সিএসকের জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে। কারণ রিটেনশনের পরে চেন্নাইয়ের হাতে মোটে ৫৫ কোটি টাকা পড়ে আছে। দলের একাধিক ফাঁক পূরণ করতে হবে। লাগবে পেসার, স্পিনার, ব্যাটার। সেই পরিস্থিতিতে পন্তের জন্য যদি সিএসকে ২৬ কোটি টাকা খরচ করে ফেলে, তাহলে তো বাকিদের নিতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হবে সিএসকে ম্যানেজমেন্টকে। তাছাড়া সিএসকে এরকম একজনের জন্যই এত বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করার পথে হাঁটে না। ফলে পন্তের দাম ২৫ কোটি টাকা𝕴 ছাড়িয়ে গেলে চেন্নাই আদৌও তাঁকে নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ 🌄আছে।