টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি। সকাল থেকেই সর্বত্র ট্রেন্ডিংয়ে চলছে এই খবরই। বিশ্বের সব প্রান্ত থেকেই কোহলিকে একে একে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাবড় তাবড় ক্রীড়াবিদরা। সেই তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ডেভিড ওয়ার্নাররা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জকোভিচও। সচিন তেন্ডুলকর তো সকালেই বিরাটের খবর শুনে, তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। কোহলির হয়ত শেষ কয়েকটা সিরিজ খারাপ গেছে, কিন্তু তাঁর যা ফিটনেস এবং বিরাটের যা রিফ্লেক্স তাতে, স্রেফ এক সিরিজে কয়েকটা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ট খেলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার মতো নয়। তাই কোহলির এভাবে টেস্ট থেকে সরে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না কেউ।
অস্ট্রেলিয়া সফর ভারতের কাছে বিভীষিকা
এদিকে অস্ট্রেলিয়া সফর যেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে একপ্রকার বিভীষিকা। ২০১৪ সাল নাগান একটা অস্ট্রেলিয়া সিরিজই টেস্ট থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনির কেরিয়ারে ইতি টানতে বাধ্য করেছিল। এর প্রায় ১ দশক পর সেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজই ভারতীয় ক্রিকেটের দুই অন্যতম সেরা আইকন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির টেস্ট কেরিয়ারে ইতি টেনে দিল।
স্মিথের খারাপ দিনে পাশে দাঁড়ান কোহলি
তবে অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে বিরাটের সম্পর্ক বরাবরই ভালো। কারণ অস্ট্রেলিয়ানরা যেমন ক্রিকেটে ভালো, তেমন ভালো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও তাঁরা খেলতে ভালোবাসেন। সেই কারণেই বিরাটের অবসরে মন খারাপ স্টিভ স্মিথের। আরও একটা কারণ অবশ্য রয়েছে, স্যান্ডপেপার গেট কাণ্ডে স্মিথ যখন জড়িয়েছিলেন, এরপর নির্বাসন কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর একটি ম্যাচে তিনি ভারতের বিপক্ষে খেলছিলেন। কিন্তু সেই ম্যাচে মাঠের দর্শকরা স্মিথকে স্যান্ডপেপার কাণ্ডের কথা মনে করিয়ে কটুক্তি করছিল, কিন্তু বিরাটই তখন দৌড়ে এসে দর্শকদের চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন। আর বিরাটকে সমর্থকরা এতটাই ভালোবাসতেন, যে তাঁর কথা ফেলতে পারেননি।