বাংলাদেশের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান এবং জাতীয় দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার নাফিস ইকবাল গুরুতর অসুস্থ। শুক্রবার চট্টগ্রামে ব্রেন হ্যামারেজের শি🔯কার হন। তাঁকে চট্টগ্রাম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঢাকার একটি হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে নাফিস ইকবালকে, যেখানে তিনি এখন হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লজিস্টিক্যাল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন নাফিস। গত কয়েক দিন ধরে তিনি মাথাব্যথার অভিযোগ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার দলের বাকিদের সঙ্গেই দেশে ফিরেছেন তিনি। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী নাফিসের অসুস্থতার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, নাফি꧂🌼স এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে তাঁর কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
তিনি বলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞরা আমাদের জ📖ানিয়েছেন 𓂃যে নাফিস সেরিব্রাল ভেনাস থ্রম্বোসিস নামক কিছুতে ভুগছেন। তাঁর মস্তিষ্কের ওই অংশে রক্ত জমাট বেঁধেছে। তবে তিনি এখন স্থিতিশীল। তাঁর প্যারামিটার ভালো। তিনি আরও কয়েক দিন এখানে থাকবেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন যে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন। প্রথম দিন তাঁকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর শীঘ্রই একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হতে পারে।’
বিসিবি-র ডিরেক্টর জালাল ইউনুস, চিফ এক্সিকিউটিভ নিজামউদ্দিন চৌধুরী এবং মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম ও মাশরাফি মুর্তাজার মতো বেশ কয়েক জন খেলোয়াড় ঢাকার হাসপাতালে নাফিসকে দেখতে যান। নাফিস বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিবি ডিরেক্টর আক্রম খানের ভাগ্নে। এ🌟বং জাতীღয় দলের আর এক প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস। ২০২২ সাল থেকে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন, পরে তাঁকে জাতীয় দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বজয় করে এসেছে ছেলে, 🙈স্নেহের চুম্বনে ভরালেন রোহিতের মা-ཧ ভিডিয়ো
গত দুই বছর বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন নাফিস। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ১১টি টেস্ট এবং ১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্টে একটি সেঞ্চুরি ও দু'টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। ওয়ানডেতে আছে দু'টি অর্ধশতরান। প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ১ꩲ২০টি, লিস্ট ‘এ’ ১১২টি। ২০০৪ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর টেস্টে অভিষেক হয়।
ওয়ানডে অভিষেকটা অবশ্য আরও আগে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৩ সালের নভেম্বরে। ২০০৫ স🍎ালে কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের সেই ম্যাচটিই নাফিস ইকবালের শেষ ওয়ানডে। শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০০৬ সালে ꦑবগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। চোটের কারণে তাঁর ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি।