শুভব্রত মুখার্জি:- ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে সবেমাত্র। হাইভোল্টেজ এই সি𒀰রিজে বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছে ভারতীয় দল। ৪-১ ফলের বিরাট ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে রোহিত শর্মা বাহিনী। সিরিজের আগে ব্যাপকভাবে প্রচার চলেছিল 🍬ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। হায়দরাবাদে প্রথম টেস্টে এই স্ট্র্যাটেজি সাফল্য পেলেও গোটা সিরিজে বাজেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ব্যাজবল স্ট্র্যাটেজি।
ভারতীয় দল তাদের সিনিয়র তারকাদের ছাড়াই এই সিরিজ জিতেছে। বিরাট𒐪 কোহলি, মহম্মদ শামি, কেএল রাহুলদের (প্রথম টেস্ট বাদ দিয়ে) গোটা সিরিজে পায়নি ভারতীয় দল। তার পরেও তারা এই অনবদ্য পারফ𝔍রম্যান্স করায় তাদেরকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। পাশাপাশি তিনি ভারতীয় সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করার কারণে টিম ইংল্যান্ডকে তুলোধোনো করেছেন।
স্পোর্টসস্টারের হয়ে এক কলামে গাভাসকর লিখেছেন, ‘কি অসাধারণ খেলেছে ভারতীয় দল! তরুণ ভারতীয় যে যেভাবে টিম ইংল্যান্ডকে চূর্ণ করেছে তা দেখে আমি আপ্লুত। আমি আনন্দিত। ভারতের মাটি🐭তে পা রেখে এমন এক হাবভাব ওরা (ইংল্যান্ড দল) করছিল, যেন দেখো আমরা তোমাদের হয়ে কত সুবিধা করেদিলাম💜 এইরকম একটা মানসিকতা।’
সানি আরও লেখেন, 'ভারতীয় অফিসিয়ালদেরও বলিহারি, তারাও এদেরকে দেখে গদগদভাবে যায় এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনা জানাতে। যেন আমাদেরকে আলাদা কোন ফেভার করছে এরা। আমার তো মনে হয় অস্ট্রেলিয়া এর থেকে অনেক অনেক ভালো। ওরা কিন্তু আমাদের এখানে এসে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান দেয়। আমাদেরকে অবজ্ঞা করে না। এটা অজিদেরকেও সাহায্য করে সোনার হাঁস (আইপꦑিএল) চিনে নিতে। আইপিএল কিন্তু সেই বিরাট একটা সোনার হাঁস।'
গাভাসকর আরও লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা এই কারণেই (আইপিএলের নিলামে) অবিশ্বাস্য রকমের দাম পায়। যাদের কেভিন পিটারসেন অনেক সময়েই দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় গ্রেডের ক্রিকেটার বলে আখ্যা দিয়েছেন। 🧔এর পাশাপাশি অজি কোচ, ফিজিও, ট্রেনার এবং আরও অনেকে আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কাজ করেন মোটা বেতনের বিনিময়ে। ফলে ঘরে (অস্ট্রেলিয়াতে) তারা যতটা রোজগার করতে পারে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি রোজগার তারা এখানে করে।’
শেষে প্রাক্তন ভারতীয় তারকা লেখেন, 'ধারাভাষ্যকারদের ভুললেও চলবে না। আমার তো অনেক সময় মꦐনে হয় যেন অস্ট্রেলিয়ান প্রিমিয়র লিগ চলছে। অজিরা খুবই ভালোবাসার যোগ্য। তাদের এই হামবড়াভাব, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ইংল্যান্ডের তুলনায় অনেক🐼টাই কম। আর আমার মনে হয় এই কারণেই ভারতীয় এবং অস্ট্রেলিয়ান দলের মধ্যে যে খারাপ সম্পর্ক ২২ গজে ছিল তা আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে। এখন এই খারাপ সম্পর্ক নেই বললেই চলে।'