ভারতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজা সোমবারই টেস্ট ক্রিকেটে পূর্ণ করেছেন ৩০০ উইকেট। বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংসে জবনিকা টানেন জাড্ডুই। ব্যাট হাতে তেমন নজর না কাড়তে পারলেও তাঁর বোলিংয়ের 👍কীর্তিতে খুশি দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। তাঁর কথায়, ‘আমার কাছে রবীন্দ্র জাদেজা একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। ভালো ব্যাটিং করে, বোলিং করে। ফিল্ডিংয়েও দুরন্ত। এমন একজনকে সব সময়ই দলে 🌃প্রয়োজন। দেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সেটা করে যাচ্ছে, আর ৩০০ ক্লাবে ওর প্রবেশ করা সত্যি বিশেষ সাধুবাদযোগ্য’।
আরও পড়ুন-BCCI AGM- নতুন ফরম্যাট অপছন্দ! আগামী বছরই ফিরছে দলীপের পুরনো নিয়ম!𒁃 ICCতে প্রতিনিধি কে?
প্রথ💃ম তিন দিনে কানপুর টেস্টে বল গড়িয়েছিল মাত্র ৩৫ ওভার। কিন্তু চতুর্থ দিনেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা দেখিয়ে দিলেন কেন তাঁরা এই মূহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা দল। সব ফরম্যাটেই যে ভারত এই মূহূর্তে বাকিদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে, সেটাই বাংলাদেশ দলকে নিয়ে ছেলেখেলা করে বুঝিয়ে দিলেন যশস্বী থেকে বুমরাহ, অশ্বিনরা। প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেওয়ার পর ভারত করল ৯ উইকেটে ২৮৫। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ২৬।
আরও পড়ুন-পঞ্চম একদিনের ম্যাচে DLS মেথডে ইংল্যান্ড বধ অজিদের! অলরাউন্ডার ൲হেডের ম্যাজিকে সিরিজ জয়…
চতুর্থ দিনে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হার না মনোভাবের প্রশংসা শোনা গেল দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলের গলাতেও। প্রোটিয়াদের প্রাক্তন পেসার বলছেন, ‘আমরা দিনের শুরুটা করেছিলাম ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই। দুটো দিন পুরো নষ্ট হয়েছে। এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি রয়েছে, এই খিদেটাই দেখাতে হবে’। রোহিত-যশস্বীর দ্রুত গতির ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে মর্কেল বলছেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গোটা ব🌌্যাটিং ইউনিটই দুরন্তভাবে অবদান রেখেছে’।
ভারতীয় দলের বোলিং কোচ বলছেন, ‘গৌতম গম্ভীরও চেয়েছিল যতটা সম্ভব দ্রুত ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর সেটার জন্য একজন নেতার দরকার হয়, যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। রোহিত আগেও এই কাজটা করেছে, আজও আরেকবার করে দেখাল। 💝প্রথম বলে ব্যাট করতে এসে ছয় মারল, আর সেটাও এমন একটা উইকেটে যেখানে বাউন্সের কোনও ঠিক নেই। আর এর ফলেই বোলাররা ব্যাকফুটে চলে যায়। অধিনায়ক যদি এমন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় তাহলে অনেক কিছুই বদলে যায়’।
সোমবার সকালে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় টিম ইন্ডিয়ার। এরপরই রোহিতরা সিদ্ধান্ত নেন আগ্রাসী ক্রিকেটের, নাহলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশ♔িপ ফাইনালের পথ কঠিন হয়ে যেত. ভারতীয় পেসাররা প্রথম ইনিংসে তুলে নিয়েছিলﷺ সাত উইকেট, যার ফলে ২৩৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই নিয়ে মর্কেল বলছেন, ‘আমার মনে হয়, বল হাতে আমাদের ছেলেরা যেভাবে নিজেদের উজার করে দিয়েছে সেটা অসাধারণ। কারণ উইকেট না তুলতে পারলে এই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসা যেত না। তাই আমরা উইকেট নিচ্ছিলাম, আর ওদের ওপর চাপ তৈরি করছিলাম। তাতেই শেষ পর্যন্ত ওরা অলআউট হয়ে যায়’।
আরও পড꧑়ুন-IPL 20✱25- তারকারা যখন জিরো, তখন ওরাই হিরো! শশাঙ্কদের সম্মান দিতেই ম্যাচ ফি-র সিদ্ধান্ত…
দঃ আফ্রিকান তারকার বোলিং কোচ হিসেবে এটাই ভারতের হয়ে প্রথম সিরিজ। তাই দলের খেলায় সামগ্রিকভাবে উচ্ছসিত তিনি। তাঁর স্পষ্ট কথা, দলে এমন অনেক ক্রিকেটারই রয়েছেন যারা পরিস্থিতি বুঝে খেলতে পারে। দরকারে ম্যাচ টেনে নিয়েও যে🐻তে পারেন আবার আগ্রাসী ব্যাটিংও করতে পারে। বাংলাদেশ বোল🍒াররা বুঝতেও পারেনি ভারতীয় দল জয়ের জন্য এমন অ্যাটাক করবে, বলছেন প্রোটিয়া তারকা।