☂ একে তো বিশ্বকাপের ঠিক আগে বেশ কিছু ম্যাচ হারায় বাবর আজমদের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পরে বিশ্বকাপের প্রথম ২ ম্যাচে হারার পরে ঘরে-বাইরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হতে পারে বাবরদের।
💖এমন অবস্থায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলের গতিবিধি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাবর আজমদের শপিং করা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাফেতে সময় কাটানোর বিষয়গুলি ভালোভাবে নিচ্ছেন না পাক ক্রিকেটপ্রেমীরা। বেশিরভাগ সমর্থকের মত এই যে, এমন কঠিন সময়ে খেলার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত পাক ক্রিকেটারদের।
꧑যদিও পাকিস্তানের সহাকারী কোচ আজহার মেহমুদকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উঁচু গলায় সমর্থন করেন বাবরদের আচরণকে। তাঁর দাবি, ম্যাচ হারলেই জীবন শেষ হয়ে যায় না। ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। তাই তাঁদের চাপমুক্ত হওয়ার জন্য এসব করা মোটেও অন্যায় নয়। আজহার মেহমুদ তো এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্যও করে বসেন। তিনি ইঙ্গিতে জানান যে, ব্রিটিশ দল তো অনেক অপত্তিজনক জায়গাতেও যায়। সেদিক থেকে পাকিস্তান তো রাতে ভালো জায়গায় সময় কাটায়।
🧜কানাডার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে আজহার মেহমুদ পাক ক্রিকেটারদের রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত ক্যাফেতে সমট কাটানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘আপনারা কি ম্যাচের দিনে ক্রিকেটারদের বাইরে দেখেছেন? ক্রিকেট খেলা হয় মাঠে। ক্রিকেটের বাইরেও খেলোয়াড়দের জীবন রয়েছে। আমরা একটু বেশি আবেগ দেখাই। ম্যাচ হেরে গেলে জীবন শেষ, এটা হতে পারে না। ম্যাচ হারলে ক্রিকেটারদের মন হালকা করার জন্য সময় দরকার।’
🅰আজহার মেহমুদ আরও বলেন, ‘আমাদের প্লেয়াররা তো তেমন নয়, আমি ইংলিশ দলের সঙ্গেও ছিলাম। ওরা অন্য সব জায়গাতেও যায়। আমরা খাবার খেতেও যেতে পারব না? আমাদের মনোরঞ্জন তো এটাই। ম্যাচ হারলে এইসব কথা ওঠে। জিতলে এই প্রশ্ন শুনতে হতো না।’
🧸নেটিজেনদের অনেকেই যদিও আজহার মেহমুদের এমন যুক্তি মানতে রাজি নন। তাঁদের দাবি, বাবর আজমরা আমেরিকায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছেন। বোর্ড তাঁদের টাকা দিচ্ছে দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য। তাই ব্যক্তিগত মনোরঞ্জনের কথা না ভেবে দেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষদের কথা ভাবা উচিত খেলোয়াড়দের।