এমনটা নয় যে আন্তর্জাতিক ক্ওরিকেটে আগে কখনও বড় রানের ইনিংস খেলেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বরং চেন্নাই টেস্টে মাঠে নামꦯার আগেই অশ্বিনের ঝুলিতে ছিল ৫টি টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে চিপকে যে রকম দাপটের সঙ্গে ব্যাট করেন অশ্বিন, তার জন্য আলাদা করে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগকে।
কারণটা সহজেই অনুমান করা যায়। অশ্বিন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলে সুযোগ পান না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ🔯ে টেস্ট সিরিজের পরে আইপিএলই ছিল তাঁর শেষ🐈 প্রথম সারির টুর্নামেন্ট। মাঝের সময়ে রোহিত-কোহলিরা সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তবে সেই সুযোগ ছিল না অশ্বিনের সামনে। সুতরাং, নিজেকে টেস্টের মতো সর্বোচ্চ মঞ্চের জন্য প্রস্তুত রাখা নিতান্ত কঠিন ছিল অশ্বিনের সামনে।
বেশ কিছুদিন পরে অশ্ব๊িন ফের জাতীয় দলের হয়ে মাঠে ফিরলেন এবং দেখিয়ে দিলেন বিন্দুমাত্র মরচে পড়েনি স্কিলে। বরং বোলিংয়ের পাশাপাশি ধারালো হয়েছে তাঁর ব্যাটিংও। চিপক🎶ে ১১৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলার পাশাপাশি শেষ ইনিংসে ৬টি উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হন রবিচন্দ্রন।
৩৮ বছর বয়সে টেস্টে সেঞ্চুরি করছেন এবং ইনিংসে ৬ উইকেট নি🐼চ্ছেন অশ্বিন, এই বিষয়টাই অবাক করছে বিশেষজ্ঞদের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই নিয়ে রোহিতের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে হিটম্যান স্পষ্ট জানান যে, অশ্বিনই ভালো বলতে পꦡারবেন রহস্যটা কী!
জাতীয় দল🅷ে অশ্বিনের সার্বিক অবদানকে কুর্নিশ জানিয়ে রোহিত বলেন, ‘আমার পরেই অশ্বিন কথা বলবে (ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে)। ওই এই প্রশ্নের ভালো উত্তর দিতে পারবে। ব্যাটিং হোক বা বোলিং, যখনই আমরা ওর কাছ থেকে কিছু আশা করেছি, প্রত্যাশা পূরণ করেছে ও। দলের জন্য ও যা করেছে, আমার মনে হয় না এখানে যাই বলি না কেন, তা বোঝানোর জন্য যথেষ্ট হবে। প্রত্যেকবার আমরা দেখি ও মাঠে নেমে নিজের কাজ করে গিয়েছে। ও সর্বদাই অসাধারণ।’
রোহিত আরও যোগ করেন, ‘ও শেষবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট 🐭খেলেছে আইপিএলে। পরে টিএনপিএলে মজা করতে নেমেছিল। টিএনপিএলে ওকে উপরের দিকে ব্যাট করতে দেখেছি আমরা এবং সেটাই ওকে এই ম্যাচে ভালো খেলতে সাহায্য করেছে।’
উল্লেখ্য, গত তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে অশ্বিনকে ডিন্ডিগুল ড্রাগনসের হয়ে টপ অর্ডারে ব্যাট করতে দেখা যায়। এমনকি একাধিক ম্যাচে ওপেন করতেও নামেন অশ্﷽বিন। ১০ ম্যাচের ৯টি ইনিংসে ব্যাট করে অশ্বিন টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ ২৫২ রান সংগ্রহ করেন। হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনটি। ডিন্ডিগুলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টিএনপিএলের এলিমিনেটর, দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল, তিনটি প্লে-অফ ম্যাচে পরপর ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন অশ্বিন। তার পরেই চেন্নাই টেস্টে মাঠে নেমে সেঞ্চুরি করলেন রবিচন্💜দ্রন। যে কোনও পর্যায়ের ক্রিকেট মিলিয়ে টানা ৪টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অশ্বিন ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি করলেন। বোঝাই যাচ্ছে যে, ব্যাটার হিসেবে কতটা পরিণত হয়ে উঠেছেন অশ্বিন।