২০১১ সালের ২০ জুন প্রথমবার ভারতের হয়ে টেস্ট খেলতে নামেন বিরাট কোহলি। ২০২৫ সালের ১২ মে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন কোহলি। মাঝের ১৪ বছরে বিরাট ভারতের হয়ে মোট ১২৩টি টেস্ট খেলেন। ২১০টি ইনিংসে ব্যাট করে সংগ্রহ করেন ৯২৩০ রান। ব্যাটিং গড় ৪৬.৮৫। তিনি টেস্টে ৩০টি সেঞ্চুরি করেন এবং ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। টেস্ট ক্রিকেটে ♛তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ২৫৪ রানের।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিরাট কোহলির সঙ্গে একই ম্যাচে টেস্ট অভিষেক হয় আরও দুই ভারতীয় ক্রিকেটারের🐲। তবে একজনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি। অন্যজন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সব ফর্ম্যাটে মাঠে নেমেছেন। তবে ওয়ান ডে ছাড়া অন্য কোনও ফর্ম্যাটে লম্বা রেসের ঘোড়া হয়ে দেখা দিতে পারেননি।
কোহলির সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয় কোন দুই ভারতীয় তারকার?
কিংস্টোনে ওয়েস্ট ইন্ডি⛦জের বিরুদ্ধে যে ম্যাচে বিরাট কোহলি প্রথমবার টেস্ট খেলতে নামেন, সেই ম্যাচেই ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় টপ অর্ডার ব্যাটার অভিনব মুকুন্দ ও পেসার প্রবীণ কুমারের। কোহলি একশোর বেশি টেস্ট খেললেও মুকুন্দ ৭টি ও প্রবীণ ৬টি টেস্ট খেলেই দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের জাতীয় দল থেকে ছিটকে যান। ২০১৭ সালে শেষ হয় মুকুন্দের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। প্রবীণ ২০১২ সালে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, টেস্ট অভিষেকে কোহলির ১০ জন সতীর্থের আর কেউই এখন জাতীয় দলে নেই। অবসর নেওয়ার পরে কেউ কেউ ভারতীয় দলেಞর কোচও হয়েছেন। কেউ এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন বটে, তবে তাদের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কার্যত শেষ।
কোহলির অভিষেক টেস্টে♔ ভারতের ক্য়াপ্টেন ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন দীর্ঘদিন হয়ে গেল। তবে তিনি আইপিএল খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোহলির অভিষেক টেস্টে ভারতের হয়ে মাঠে নামা পেসার ইশান্ত শর্মা এখনও আইপিএল খেলছেন। তবে তিনি জাতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন 𝓰দীর্ঘদিন হয়ে গেল।
আরও পড়ুন:- টেস্টেꦏর অভিজাত ক্লাবের দরজা উপেক্ষা করলেন কোহলি, অবসর নেওয়ায়♕ হাতছাড়া ২টি বিরাট রেকর্ড
কোহলির অভিষেক টেস্টে শতরান করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হওয়া রাহুল দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই কোচ হিসেবে জাতীয় দলকে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। সেই ম্য়াচে মাঠ👍ে নামা ভিভিএস লক্ষ্মণ ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান এবং স্টপ গ্যাপ ভিไত্তিতে তিনি জাতীয় দলের হেড কোচের ভূমিকাও পালন করেছেন।
সুরেশ রায়না, হরভজন সিংরা অবসরের গ্রহে। মুরলি বিজয়ও মাঠ থেকে দূরে। অমিত মিশ্রকেও𝐆 দেখা যায় না বাউন্ডারির ভিতরে। সেই নিরিখে বলাই যায় যে, কোহলির সঙ্গেই শেষ হয় ভারতীয় ক্রিকেটের বর্ণোজ্জ্বল একটি অধ্যায়।