শুভব্রত মুখার্জি: অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সূচি ঘোষণা অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। এবার টিকিট বিক্রির দিনক্ষণও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে বিভিন্ন স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ। আসন্ন বিশ্বকাপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু বেঙ্🐈গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়ামেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের মত পাঁচটি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। বৃহস্পতিবার কর্নাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মহারাজা টি-২০ ট্রফির উন্মোচন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রঘুরাম ভাট জানিয়েছেন, ‘আইসিসির পরিদর্শক দল কয়েকদিন আগেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পরিদর্শন করে গিয়েছিল। তাদের পরিদর্শন করে যাওয়ার পরেই সংস্কারের কাজ আরো দ্রুত করছি আমরা। স্ট্যান্ডে সংস্কারের কাজ চলছে। নতুন সিট বসানো হচ্ছে। স্টেডিয়ামের বাথরুমকে আমরা ফের নয়ারুপে সাজিয়ে তুলছি। আমাদের লক্ষ্য স্টেডিয়ামে দর্শকদের সের🐈া ফ্যাসিলিটি দেওয়া। আমাদের এই ভেন্যু বিশ্বের অন্যতম সেরা ভেন্যু।’
২০ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে খেলা হবে প্রথম ম্যাচ। মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান। ২৬ অক্টোবর ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ খেলা হবে এই স্টেডিয়ামে। ৪ নভেম্বর মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচꦇটি হবে ৯ নভেম্বর। ১২ নভেম্বর খেলা হবে ভারত বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া দলগুলো বেঙ্গালুরুতে তাদের অনুশীলন ক্যাম্পেরও আয়োজন করছে। ফলে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে। ডব্লুপিএলের দল ইউপি ওয়ারিয়র্স কিছুদিন আগেই এই মাঠে এক সপ্তাহের অনুশীলন করেছে। গুজরাট, বরোদা এবং ছত্তিশগড়ের দলও আসবে প্রস🎀্তুতি করতে। বেশ কিছু কাউন্টি দলও অনুরোধ জানিয়েছে বেঙ্গালুরুতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার। পাশাপাশি ১৩-২৯ অগস্ট অনুষ্ঠিত হবে কেএসসিএ আয়োজিত টি-২০ টু্র্নামেন্ট। চিন্নাস্বামীর পাশাপাশি আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন রঘুরাম ভাট।