শুভব্রত মুখার্জি: ক্রিকেট ইতিহাসে বাবা-ছেলে জুটি দেশের হয়ে খেলা বা নজির গড়ার কাহিনী নতুন নয়। এর আগে ও ল্যান্স কেয়ার্নস, ক্রিস কেয়ার্নস জুটিকে আমরা নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২২ গজ মাতাতে দেখেছি। একাধিক নজির গড়তে দেখেছি। তবে ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে বাবা এবং ছেলের প্রায় একধরনের পারফরম্যান্স করার নজির এর আগে ছিল না। আর সেই নজির গড়েই বাবার করা কীর্তিকে স্পর্শ করলেন নেদারল্যান্ডস সিনিয়র ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার বাস ডিলিড। ২০ বছর আগে বাবা টিম ডিলিড ভারতের বিরুদ্ধে যে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন প্রায় এক পারফরম্যান্স ভারতের মাটিতে চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করলেন বাস। আর বাবার কৃতিত্ব স্পর্শ করে গড়ে ফেললেন নয়া নজিরও। প্রথম বাবা-ছেলে জুটি হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে চার উইকেট নেওয়ার নজির গড়ে ফেললেন টিম ডিলিড এবং বাস ডিলিড।২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ডাচরা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে বল হাতে ১০ ওভার বল করে ৩৫ রান দেন টিম ডিলিড। নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। আজ অর্থাৎ শুক্রবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলল ডাচরা। সেই ম্যাচে ৬২ রান দিয়ে চারটি উইকেট নিলেন বাস ডিলিড। এর ফলে ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বাবা ছেলে জুটি হিসেবে এক ম্যাচে চার উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তাঁরা। এদিন নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নেন বাস। শেষ স্পেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও ছিল তাঁর সামনে। তবে তা সম্ভব না হলেও প্রায় ২০ বছর আগে করা বাবা টিম ডিলিডের কীর্তি স্পর্শ করলেন ২৩ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার।ওডিআই বিশ্বকাপের আসরে ডাচদের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেটে নেওয়ার রেকর্ড এখন বাবা-ছেলের জুটির পকেটে। তবে এর পাশাপাশি এই নজির রয়েছে আরও তিন ডাচ বোলারের।এদিন সউদ শাকিল, মহম্মদ রিজওয়ানের অর্ধশতরানের সৌজন্যে এক ওভার বাকি থাকতে অলআউট হয়ে গেলেও পাকিস্তান ২৮৬ রান করতে সমর্থ হয়।ম্যাচে পঞ্চদশ ওভারে প্রথম আক্রমণে আনা হয় ডিলিডকে। প্রথম স্পেলে তিন ওভার করেন তিনি। তিন ওভারের ওই স্পেলে কোনও উইকেট পাননি তিনি। ৩২তম ওভারে বল হাতে ফিরে এসে তিনি আউট করেন রিজওয়ান ও মহম্মদ ইফতিকারকে। এরপর ৪৩তম ওভারে পরপর দুই বলে তিনি আউট করেন শাদাব খান এবং হাসান আলিকে। ইয়র্কার লেন্থের হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে ডিলিডকে হ্যাটট্রিক নিতে দেননি শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরের দুই ওভারে আর কোনও সাফল্য পাননি বাস ডিলিড। ৯ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৬২ রান।বিশ্বকাপের এক ম্যাচে ২০০৩ সালেই ডাচদের হয়ে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ৪২ রান দিয়ে ৪টি করে উইকেট পেয়েছিলেন ফ্রেইকো ক্লোপেনবার্গ এবং আদিল রাজা।