লাগাতার পাঁচটি হারের পর জয় পেয়ে অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে ইংল্যান্ড। বুধবার পুণেতে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারায় তারা। বুধবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান তোলে তারা। সৌজন্যে, অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় প্রথম শতরান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের সেরা হন বেন। এক সাক্ষাৎকারে এই জয় পেয়ে খুশি প্রকাশ করেছেন তিনি। তারকা অলরাউন্ডার জানান নিজের শতরানের চেয়েও দলের জয়তে বেশি খুশি হয়েছেন।ম্যাচ শেষে বেন বলেন, 'বিশ্বকাপটা একেবারেই আমাদের জন্য ভালো যাচ্ছিল না। লাগাতার হারের মুখ দেখতে হয়েছে আমাদের। তবে অবশেষে জয়ের পথে ফিরতে পেরে আমরা খুশি। সত্যি বলতে গেলে, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম শতরানে যতটা বেশি খুশি, তার চেয়ে বেশি খুশি এই জয়েতে। পিচে ভালো বাউন্স ছিল, তবুও চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলাম শেষ পর্যন্ত খেলার এবং শেষের দিকে হাত খোলার।'পাশাপাশি, তাঁর সতীর্থ ক্রিস ওকসেরও প্রশংসা করেন তিনি। বেন জানান, 'সেই সময়ে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে ক্রিস। আমি সত্যি কৃতজ্ঞ ও যেভাবে অন্যদিকে ধরে খেলছিল। আমরা দুজনেই নিজেদের সময় দিয়েছিলাম প্রথম দিকে। একটি পার্টনারশিপ গড়ি। তারপরে সুযোগ বুঝে দ্রুত গতিতে রান করি। ক্রিস একজন সত্যিকারের অলরাউন্ডার। গত ২-৩ বছর ধরে দলের হয়ে ভালো খেলছে। এই ম্যাচটাও সেটার বড় প্রমাণ।'উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয় দিয়ে শুরু করে ইংল্যান্ড। পরের ম্যাচটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতলেও, লাগাতার পাঁচটি ম্যাচ হারেন তারা। এই দলের পরিস্থিতি দেখে কটাক্ষ করেন প্রাক্তন তারকারা। অবশেষে বুধবার জয়ের ধারায় ফেরে বাটলারের দল। বড় ব্যবধানে হারায় ডাচ বাহিনীদের। এই জয়ের নায়ক বেন স্টোকস। এবার সামনে ইংল্যান্ডের বড় চ্যালেঞ্জ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যোগ্যতা অর্জব করা। আর তা করতে হলে, প্রথম আটের মধ্যে আসতে হবে ইংল্যান্ডকে। অর্থাৎ শেষ ম্যাচটি বড় ব্যবধানে জেতা অত্যন্ত জরুরি।গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের শেষ ম্যাচ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে শুধু ইংল্যান্ড নয় এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান সমর্থকদের মধ্যেও। পাকিস্তান হারলে, সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা থাকবে দুই দলের। এবার দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড যোগ্যতা অর্জন করতে পারে কিনা এবং অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের পথ সহজ হয় কিনা।