ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের ধারাবাহিকতা বিস্ময়কর। বুধবার, তারা তাদের টানা পঞ্চম সেমিফাইনালে খে💎লবে। ২০০৭ এবং ২০১১ সালে শেষ-চারের ম্যাচে হারার পর, তারা শেষ দু'টি সংস্করণে ফাইনালিস্ট হওয়ার জন্য তাদের স্নায়ুকে আরও ভালো ভাবে ধরে রেখেছিল। কিন্তু জিততে পারেনি ফাইনাল।
কিউয়ি ফাস্ট বোলার, লকি ফার্গুসন, যিনি ২০১৯ সালের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচেও তিনটি বড় উইকেট নিয়েছি🧔লেন, তিনি এই বড় ইভেন্টগুলিতে নিউজিল্যান্ডের ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন🌳।
ফার্গুসন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের প্রক্রিয়ার সঙ্গে লেꦬগে থাকি। আমি জানি এটি একটি ক্লিসে শোনাচ্ছে, তবে এটি🐻 আমাদের এক রকমের মাথার মধ্যে থাকে। এবং কিউয়ি হিসাবে আমরা আমাদের পা যেখানে আছে, সেখানে রাখারই চেষ্টা করি। যা আমি মনে করি একটি ইতিবাচক। তবে হ্যাঁ, আমরা বড় টুর্নামেন্টের অপেক্ষায় রয়েছি।’
২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার বিষয় ছিল ভারত। বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল ফর্মে ছিল এবং রাউন্ড-রবিন লিগে তারাই শীর্ষে ছিল। তবে নকআউটে কিউয়িরা ভারতকে পরাজিত করে। ফার্গুসন, যিনি সেই ম্যাচে ১০ ওভার বলে করে ৪৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটি একটি দুর্দান্ত খেলা ছিল... আমাদের জন্যও খুব আনন্দদায়ক কিন্তু চার বছর কেটে গিয়েছে …’।
এই বিশ্বকাপেও নিউজিল্যান্ড অপরাজিত ভারতকে কঠিনতম লড়াইয়ে ফেলেছিল। ধর্মশালায় তারা ২৭৩ রান তুলেছিল। আর সেই ম্যাচে লকি ফার্গুসন ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিলকে সাজঘরে ফেরানোর প♕র ভারতকে চার উইকেটের জয়ের দিকে নিয়ে যান।
লকি ফার্গুসন বলেছেন, ‘এটি একটি কঠিন লড়াই ছিল। অবশ্যই, একদিনের ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে খেলায় অনেক চড়াই উতরাই থাকবে। সেই খেলার থেকে এটি (সেমিফাইনাল) কোনও ভিন্ন ম্যাচ হতে যাচ্ছে না। আমাদের যতটা সম্ভব শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে, দেখতে হবে যে, এই উইকেটে ভালো স্কোর কী হবে এবং এটি রক্ষা করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। এবং যদি আমরা প্রথমে ব্যাট করি, বোর্ডে বড় রান রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমরা মনে করছি, এ🔯কটি ভাল স্কোর হবে।’
ওয়াংখেড়ে একটি উচ্চ স্কোরিং ভেন্যু। এই পিচে বোলাররা প্রথমে বল করলে চাপে পড়ে যায়। ভারত এই মাঠেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৫৭ র🍸ান করেছিল। এই মাঠের বাউন্ডারিও ছোট। তাই অতিরিক্ত গতি এখানে দু'দিক ধারালো তলোয়ারের কাজ করতে পারে। ফার্গুসনের দাবি, নিয়ন্ত্রণই হবে আসল চাবিকাঠি।
তিনি বলেছেন, ‘আগে বুঝতে হবে, পিচ কেমন হবে এবং কত রান করলে, এখানের জন্য ভালো স্কোর হবে। আসলে ওই বড় ওভারগুলো, যেখানে ১০ রান করে দেওয়াটা আপনাকে ইনিংসের শেষের দিকে চাপে ফেলতে পারে। সুতরাং, বোলিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা সেই বড় ওভারগুলি বন্ধ করার চেষ্টা করছি... এটি একটি অভিজ্ঞতার বিষয়, একটি মূল্যায়নের বিষয়। পিচ ভিন্ন ဣভিন্ন হবে, এটাই ক্রিকেটের আনন্দ, আমরা প্রতি বারই ভিন্ন পিচে খেলি, তাই দু'দিনের মধ্যে সেটা বোঝা কঠিন। তবে বুধবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।’