পিছন ফিরে অনেকটা দৌড়। কোথায় বলটা পড়বে, সেটা নিয়ে একটা সময় ধন্দে ছিলেন। শেষপর্যন্ত একেবারে নিখুঁতভাবে বলের জাজমেন্ট। আর সেভাবেই দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের꧙ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। স্রেফ হিসেবে ওই নির্দিষ্ট ক্যাচের বিচারে꧑ ক্যাচটা দুর্দান্ত তো বটেই। ম্যাচের নিরিখে ওটা দুর্ধর্ষ ক্যাচ। কারণ কিউয়ি বোলারদের বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন রোহিত। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে ছিলেন। আর কেন সেই ক্যাচটা নিতেই একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।
সোমবার প্রথম সেমিফাইনালে ভারত🐓ের ইনিংসের ৮.২ ওভারে সেই ঘটনা ঘটে। টিম সাউদির বলটা দেখে বড় শট মারতে যান রোহিত। কিন্তু আগেরবারের মতো আর ভুল করেননি কিউয়ি পেসার। এক্ষেত্রে বলের গতি অনেকটা কম ছিল। ফলে যেরকম চেয়েছিলেন রোহিত, সেরকমভাবে মারতে পারেননি। বরং মিসটাইম হয়ে যায়। ফলে শূন্যে উঠে যায় বলটা।
মিড-অফের দিকে বলটা যেতে থাকে। পিছন দিকে দৌড়াতে শুরু করেন কেন। অনেকটা পিছনে দৌড়ে যান তিনি। বলটা কোথায় ঠিক পড়ছে, তা প্রাথমিকভাবে অনুধাবন করতে পারেননি। ফলে কিছুটা নড়াচড়া করতে থাকেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত একেবারে নিখুঁতভাবে বলের গতিপথ জাজমেন্ট করেন। আর কিছুটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা অবস্থায় দুর্দান্ত ক্যাচ ন🅘েন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। যিনি এই প্রথম অবশ্য এরকম ক্যাচ নিলেন না। আগেও এরকম দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন।
এমনিতে আজ সেমিফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রোহিত। শুরুটা বিধ্বংসী করে༺ন। শুভমন গিল যখন ধীরেসুস্থ খেলছিলেন, তখন গ্রুপ লিগের ম্যাচ♍ের মতোই মেরে খেলতে থাকেন রোহিত। প্রবল চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। শেষপর্যন্ত ৮.২ ওভারে প্রথম উইকেট তোলেন কিউয়িরা। সেইসময় ভারতের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৭১ রান। ২৯ বলে ৪৭ রান করেন রোহিত।
তারপর টিম ইন্ডিয়ার ইনিংসের হাল ধরেন শুভমন এবং ⛦বিরাট কোহলি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক কিছুটা ঢিমেতালে খেললেও শুভমন ‘চার্জ’ নেন। বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন। আপাতত ২০ ওভারে ভারতের স্কোর এক উইকেটে ১৫০ রান🌄। ৫৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত আছেন গিল (আটটি চার এবং তিনটি ছক্কা)। ৩৪ বলে ২৬ রানে খেলছেন বিরাট (দুটি চার)।