শুভব্রত মুখার্জি:- ২০১৯ সালে ওডিআই বিশ্বকাপের সে🍷মিফাইনালে হেরে গিয়েছিল ভারতীয় দল। সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছিল নিউ💮জিল্যান্ড দল। ভারতীয় দলের নেতৃত্বে সেবার ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। একটা সময়ে পরপর উইকেট হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রবীন্দ্র জাদেজা জুটি বেঁধে ভারতীয় দলকে টেনে তোলেন। একটা সময়ে ভারতীয় দল বেশ ভালো জায়গাতেও চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে তারা ম্যাচ জিতলেও জিততে পারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তবে ম্যাচে মোক্ষম সময়ে ধোনি রান আউট হয়ে যাওয়ার পরে আর ভারতীয় দল পেরে ওঠেনি। বিষয়টি নিয়ে এতদিন বাদে মুখ খুলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর মতে ওই হারটা ছিল অত্যন্ত হৃদয়বিদারক হার।
আরও পড়ুন… ১২ বছর পরে পাশাপাশ𓄧ি দুই তারকা! Tꦇ20 WC 2007 ফাইনালের নায়ক যোগিন্দর শর্মার সঙ্গে ধোনির সাক্ষাত
২০১৯ সালের ১০ জুলাই ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ভারতের সামনে 🦹জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৪০ রানের। ৪৮ ওভার শেষে ভারতের রান ছিল সাত উইকেটে ২০৯। রবীন্দ্র জাদেজা একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি ৫৯ বলে ৭৭ রান করেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল চারটি চার এবং চারটি ছয়ে। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩১ রান। উইকেটে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ৪৯ তম ওভারটি বল করছিলেন লকি ফার্গুসন। তাঁকে প্রথম বলে ধোনি একটি ছয় হাঁকান। এই ওভারের তৃতীয় বলেই ভারতীয় সমর্থকদের জন্য ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বল ধোনির গ্লাভসে লেগে যায় শর্ট ফাইন লেগ অঞ্চলে। এই বলে দুই রান নেওয়ার চেষ্টা করেন ধোনি। দূর থেকে মার্টিন গাপটিলের ছোঁড়া বল সোজা এসে লাগে একেবারে উইকেটে। ভারতের কোটি কোটি সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে দিয়ে রান আউট হয়ে ফিরে যান ধোনি।
৭২ বলে ওইদিন ৫০ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সম্প্রতি একটি ইভেন্টে ধোনির এক সমর্থক ওইদিনের বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন। ধোনি তার উত্তরেই জানিয়েছেন, ‘ওই মুহূর্তটা (সেমিফাইনালে রান আউট এবং ম্যাচে হার) ছিল খুব কঠিন মুহূর্ত। কারণ আমি জানতাম এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ। ফলে ম্যাচটা জিততে পারলে খুব ভালো লাগত। আমার কাছে ওটা খুব হৃদয়বিদারক মুহূর্ত ছিল। তারপরেও আমাদেরকে ওই ফলাফলটা মেনে নিতে হয়েছে। আমাদের সময় লেগেছে এই সত্যিটা মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। এই ধরনের হার হজম করতে সময় লাগে। একটা বিশ্🌺বকাপ শেষ হলে তারপর অবশ্য আমরা কিছুটা সময় পাই। আমি তারপরে তো আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলিইনি। ফলে আমি অনেকটা সময় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই এটা বলতেই হবে যে বিষয়টি ছিল খুব হৃদয়বিদারক।’