চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ শামিরা। তা সত্ত্বেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তুলনায় স্লো পিচে মাঠে নামতে চায় ট💯িম ইন্ডিয়া। ভারতীয় দলের অনুরোধ মতোই ওয়াংখেড়ের বাইশগজ থেকে শেষ মুহূর্তে ছেঁটে ফেলা হয়েꦬছে ঘাস, এমনটাই খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
লিগ পর্বের ৯টি আলাদা স্টেডিয়ামের পিচ ও পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতীয় দল দারুণভাবে মানিয়ে নেয়। ব্যাটিং পিচেও ভারতীয় বোলাররা উইকেট তোলেন ধারাবাহিকভাবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রোহিত শর্মারা 🌱তুলনায় স্লো পিচে ভালো ক্রিকেট খেলেছেন বলেই টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে অনুরোধ গিয়ে পৌঁছয় ওয়াংখেড়ের কিউরেটরের কাছ💦ে।
বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় দল শেষ লিগ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই নাকি বা💮র্তা পৌঁছে যায় মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে। এমসিএর এক সূত্র এক্ষেত্রে বলেন যে, ‘ঘূর্ণি পিচ নয়, তবে ভারতীয় দল তুলনায় স্লো পিচ চেয়েছে। সেই কারণেই আমরা পিচ থেকে ঘাস𝓡 ছেঁটে ফেলি।'
উল্লেখ্য, সেমিফাইনাল খেলতে ভারতীয় দল মুম্বইয়ে পা দেওয়া মাত্রই হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় বিমানবন্দর থেকে সোজা ওয়াংখেড়েতে গিয়ে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচ প𝓰রশ মামব্রে ও ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। দুই সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রাবিড় সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন ওয়াংখেড়ের বাইশগজ। কিউরেটরের সঙ্গে দ্রাবিড়দের দীর্ঘ সময় আলোচনাও করতে দেখা যায়।
পরে মঙ্গলবার অনুশীলন করতে ওয়াংখেড়েতে পৌঁছনো মাত্রই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা সোজা চলে যান বাইশগজের উপরে। তিনি রীতিমতো হামাগুড়ি দিয়ে পিচ পরীক্ষা করে বাইশগজের সম্ভাব্য চরিত্র আঁচ করার চেষ্টা করেন।༒ সোমবার দূর থেকেই বোঝা যাচ্﷽ছিল বাইশগজে সবুজ ঘাসের হালকা আস্তরণ রয়েছে। মঙ্গলবার লাল মাটির পিচে জৌলুস দেখা যায় ঘাসের আস্তরণ সরতেই।
চলতি বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়েতে রান তাড়া করা মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ৪টি ম্যাচের ꩲমধ্যে একমাত্র অস্ট্রেলিয়া পরে ব্যাট করে জয় তুলে নিয়েছে এই মাঠে। তাও সহজ জীবনদান পেয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ডাবল সেঞ্চুরি না করলে অজিদেরও সেই ম্যাচ হারতে হতে পারত আফগানদের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, চলতি বিশ্বকাপে মুম্বইয়ে এটি ভারতের প্রথম ম্যাচ নয়। বরং ভারতীয় দল এবার ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি লিগ ম্যাচে মাঠে নামে। সেই ম্যাচে সিংহলিদের ৩০২ রানের রেকর্ড ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ♒৮ উইকেটে ৩৫৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। শুভমন গিল ৯২, বিরাট কোহলি ৮৮, শ্রেয়স আইয়ার ৮২ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৩৫ রান করেন। রোহিত সেই ম্যাচে মোটে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা অল-আ✃উট হয়ে যায় মাত্র ৫৫ রানে। মহম্মদ শামি ৫ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১৬ রানে ৩টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ১টি করে উইকেট দখল করেন জসপ্রীত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।