সেপ্টেম্বরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের জন্য তাদের প্রাথমিক স্কোয়াড জানিয়ে দেওয়ার পরেই কুইন্টন ডি'ক ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা কর🌄েন। তিনি জানান যে, ভারতের মাটিতে আসন্ন বিশ্বকাপই হতে চলেছে ওয়ান ডে ক্রিকেটে দক্ষ🔴িণ আফ্রিকার জার্সিতে তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট।
কুইন্টন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে হঠাৎ করেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।ꦦ পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে চান বলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ডি'কক। তবে তাঁর ওয়ান ডে খেলা ছেড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সরগরম দক্ষিণꦏ আফ্রিকার ক্রিকেটমহল। আসলে কুইন্টন যে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার জন্য দেশের জার্সি তুলে রাখতে চলেছেন, সেই বিষয়টা সামনে আসে স্পষ্ট।
বিশ্বকাপের পরেই ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিরিজে কুইন্টন ডি'কককে দলে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কেননা ডিসেম্বরে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগ খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ডি'কক। প্রোটিয়া বোর্ড এই বিষয়ে কুইন্টনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল। তবে ডি'কক অবসর ঘোষণা করায় তার আর প্রয়োজন হবে না। যার অর্থ, কুইন্টনের বিগ ব্যাশ খেলায় আর কোনও বাꦕধাই নেই।
বিষয়টি অস্বীকারও করেননি কুইন্টন। বাস্তববাদী ডি'কক স্পষ্ট জানিয়েছেন য𒐪ে, কেরিয়ারের ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚশেষ প্রান্তে এসে সব ক্রিকেটারই চায় যত বেশি সম্ভব অর্থ উপর্জন করে নেওয়ার। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে প্রচুর টাকার হাতছানি রয়েছে এবং তিনি সেই লক্ষ্যেই ওয়ান ডে খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তার মানে এই নয় যে, তিনি দেশের প্রতি অনুগত নন। জাতীয় দলের প্রতি আনুগত্য না থাকলে ৫ বছর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে ঘরোয়া টি-২০ লিগ খেলে বেড়াতেন বলে দাবি করেন কুইন্টন।
ডি'ককের দাবি, খেলার মাঠে দেশের পর্যাপ্ত সেবা করেছেন তিনি এবং যতটুকু করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। তবে ১১ ব🍒ছরের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ প্রান্🌠তে এসে আর পাঁচজন স্বাভাবিক ক্রিকেটারের মতোই যতটুকু বেশি সম্ভব অর্থ উপার্জন করে নিতে চান তিনি।
আরও পড🅠়ুন:- অশ্বিন কি শেষ মুহূর্তে ভারতের বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়বেন? বোঝা যা☂বে আজ রাতে
টি-২০﷽ লিগের অর্থের হাতছানি তাঁর ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে কিনা, এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ডি'কককে। জবাবে প্রোটিয়া তারকা বলেন, ‘আমি মোটেও বলব না যে, এটা আমার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেনি। এটা যথার্থই আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। আমি ১০-১১ বছর ধরে জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছি এবং জাতীয় দলের প্রতি নিজের আনুগত্য দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয় যে, নিজের কর্তব্য আমি যথাযথ পালন করেছি এবং নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে প্রোটিয়া ধ্বজা যথাযথভাবে তুলে ধরেছি।’
পরক্ষণেই ডি'কক বলেন, ‘অস্বীকার করব না যে, টি-২০ লিগগুলিতে প্রচুর অর্থে💧র হাতছানি রয়েছে। ফুরিয়ে যাওয়ার আগে কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে সবাই চাইবে যতটা বেশি সম্ভব আয় করে নেওয়ার। যে কোনও সাধারণ মানুষ এমনটা করবে। যদি আমি (দেশের প্রতি) অনুগত না হতাম, তাহলে ৫ বছর আগেই অবসর নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইতি লিগ খেলে বেড়াতে পারতাম। এখন আমার বয়স হচ্ছে। আমার কেরিয়ার শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। এটাই সময় শেষ বেলায় কিছু অর্থ সঞ্চয় করে নেওয়ার।’