শেষ ওভারে যত নাটক। পড়ল ২ উইকেট। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে প্রায় হারতে বসা ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জেতালেন কেরলের অনামী ক্রিকেটার সজীবন সাজানা। শুক্রবার ২০২৪ মহꩲিলা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৪ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে খাতা খুলল মুম্বই।
জেতার জন্য শেষ ৬ বলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দরকার ছিল ১২ রান। আর দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক মেগ ল্যানিং বল করতে এনেছিলেন এলিস ক্যাপসিকে। তখন ক্রিজে ছিলেন হরমনপ্রীত কৌর এবং পূজা বস্ত্রকার। ওভারের প্রথম বলেই পূজাকে ফেরান ক্যাপসি। ৩ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন অমনজোৎ কৌর। পরের ২ বলে হয় ৩ রান। শেষ ৩ বলে ৯ রান দরকা🐠র ছিল মুম্বইয়ের। এই পরিস্থিতিতে চার মেরে কিছুটা অক্সিজেন দেন হরমনপ্রীত কৌর। কিন্তু পঞ্চম বলেই ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক।
আরও পড়ুন: বুমরাহের কোন টিপস কাজে লাগিয়ে বাজিমাত? সফল অভিষেকের পর খোলসা করলেন আক𝐆াশ দীপ
শেষ বলে মুম্বইয়ের দরকার ছিল ৫ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন কেরল কন্যা সজীবন সাজানা। কিন্তু এই এক বলেই অসাধ্য সাধন করে বসলেন তিনি। হয়ে গেলেন ম্যাচের আসল নায়িকা। শেষ বলে সাজানা সোজা ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। সেই সঙ্গে রোমাঞ্চকর ম্যাচে মু𒐪ম্বই ইন্ডিয়ান্সকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন সাজানা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দিল্লি ক্যাপিটালস বড় ধাক্কা খায়। দলের মাত্র ৩ রানে𒈔র মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে থাকে দিল্লির দল। ৮ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শেফালি বর্মা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আর এক ওপেনার এবং দলের অধিনায়ক মেগ ল্যানিংকে সঙ্গী করে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন তিনে ব্যাট করতে নামা এলিস ক্যাপসি। তবে ২৫ বলে ৩১ করে ফিরে যান মেগও। এর পর তৃতীয় উইকেটে এলিস এবং জেমিমা রডরিগেস মিলে কিছুটা অক্সিজেন দেন দিল্লিকে। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা ৭৪ রান যোগ করেন।
জেমিমা ২৪ বলে ৪২ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি চার ২টি ছয়। এলিস ক্যাপসি ৮টি চার এবং তিনটি ছক্কার হাত ধরে ৫৩ বলে ৭৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিল্লির পায়ের তলার ♏জমি শক্ত করে। এছাড়া ৯ বলে ১৬ রান করেছেন মারিজান ক্যাপ। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ন্যাট সিভার ব্রান্ট এবং অ্যামেলিয়া কের। শাবনিম ইসমাইল নিয়েছেন ১ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা খায় মুম্বই। দলের শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন হেইলি ম্যাথিউজ। তবে আর এক ওপেনার যস্তিকা ভাটিয়া হাফ সেঞ্চুরি করলেন, তিনে নেমে ন্যাট সিভার ব্রান্ট ১৭ বলে ১৯ করে আউট হয়ে যান। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে যস্তিকা এবং হরমনপ্রীত কৌর মিলে ৫৬ ꦯরান যোগ করেন। তবে যস্তিকা ৪৫ বলে ৫৭ করে আউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ২টি ছক্কা। কিন্তু হাল ধরে রাখেন হরমন। তিনিও হাফসেঞ্চুরি করেন। তবে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি মুম্বই অধিনায়ক। ৭টি চার, একটি ছয়ের হাত ধরে ৩৪ বলে ৫৭ করে সাজঘরে ফিরে যান হরমন। তবে শেষ রক্ষা করেন সাজানা। শেষ বলে তিনি ছক্কা না হাঁকালে ম্যাচটি জেতা হত না মুম্বইয়ের। দিল্লির হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এলিস ক্যাপসি এবং অরুন্ধতি রেড্ডি। মারিজান ক্যাপ এবং শিখা পান্ডে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।