চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পরে চলতি রঞ্জি ট্রফিতে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন বটে, তবে পৃথ্বী শ-র পুরনো রোগ সেরেছে বলে মনে হচ্ছে না মোটেও। রঞ্জি ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে যেভাবে আউট হলেন পৃথ্বী, তাতে তাঁর টেকনিকের পরিচ🌸িত গলদ দেখা গেল ফের।
ব্য়াট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে ভিতরে ঢুকে আসা বলে বোল্ড হওয়ার অভ্যাস পৃথ্বীর বহু পুরনো। অতীতে একাধিকবার পৃথ্বীর টেকনিটের এই গলদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদর্ভের বিরুদ্ধে রঞ্জি ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে সেই একইভাবে বোল্ড হলেন মুম্বই ওপেনার। যশ ঠাকুরের অনবদ্য একটি ইনসুইং ডেলিভারিতে ছিটকে যায় পৃথ্ব♊ী༺র স্টাম্প।
পৃথ্বী শ রঞ্জি ফাইনালের প্রথম ইনিংসে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্🥃চুরি হাতছাড়া করেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৩ বলে ৪৬ রান করে হর্ষ দুবের বলে বোল্ড হন তিনি। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ১১ রান করে যশ ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ভুপেন লালওয়ানির সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন পৃথ্বী। তবে 🐎দ্বিতীয় ইনিংসে দলকে ততটুকুও নির্ভরতা দিতে পারেননি তিনি। পৃথ্বী শুরুতেই মাঠ ছাড়ায় দলগত ২৬ রানের মাথায় ভেঙে যায় মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটি।
শার্দুল ঠাকুরের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে মুম্বই প্রথম ইনিংসে কোনও রকমে ২০০ রানের গণ্ডি টপকাতে সক্ষম হয়। তারা প্রথম দফায় ২২৪ রান তোলে। শার্দুল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৯ বলে ৭৫ রান করে মাঠ♏ ছাড়েন। তবে এত কম রানের পুঁজি নিয়েও অজিঙ্কা রাহানেরা ১১৯ রানের লিড পেয়ে যাবেন, এটা বোঝ আশা করেননি তাঁরাও।
পালটা ব𓂃্যাট করতে নেমে বিদর্ভ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। যশ রাঠোর, অথর্ব টাইডে, আদিত্য ঠাকারে ও যশ ঠাকুর ছাড়া দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি কেউ। রাঠোর ৬৭ বলে ২৭ রান করেন। মারে ৩টি চার। ৬০ বলে ২৩ রান করেন অথর্ব। তিনি ২টি চার মারেন। ৬৯ বলে ১৯ রান করেন আদিত্য। তিনি ৩টি চার মারেন। ২৯ বলে ১৬ রান করেন যশ ঠাকুর। তিনি ৩টি চার মারেন। খাতা খুলতে পারেননি করুণ নায়ার।