জসওয়াল পরিবারের রক্তে যেন ক্রিকেট রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের পরিচিত নাম যশস্বী জসওয়াল, তিনি ইতিমধ্যেই নিজের জন্য একটি নাম তৈরি করেছেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং সম্প্রতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্🀅যালস তাঁকে ১৮ কোটিꦿ টাকায় রিটেন করেছে। এবার শিরোনামে উঠে এল তাঁর দাদা তেজস্বী জসওয়াল। তিনিও যেন যশস্বীর পদচিহ্ন অনুসরণ করছেন। একজন বড় ভাইয়ের পক্ষে ছোট ভাইয়ের পথ অনুসরণ করা সাধারণ নয়, তবে জসওয়াল ভাইদের ক্ষেত্রে ঠিক এটিই ঘটেছে।
রঞ্জি ট্রফিতে নিজের প্রথম মরশুমে নজর কাড়লেন যশস্বী জসওয়ালের দাদা তেজস্বী জসওয়াল। ব্যাট হাতে বরোদার বিরুদ্ধে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন তিনি। এই মরশুমেই প্রথমবার ত্রিপুরার হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলছেন তেজসಞ্বী। বরোদার বিরুদ্ধে এটি তাঁর তৃতীয় ম্যাচ ছিল। ম্যাচের তৃতীয় দিনে ব্যাট করার সময় তিনি ১৫৯ বলে ৮২ রান করেন। তেজস্বী তাঁর ইনিংসে মোট ১২টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। ত্রিপুরার হয়ে আগের দুটি ম্যাচে সেভাবে রান পাননি তিনি। যথাক্রমে ৪ এবং ১৩ রান করেছিলেন তেজস্বী।
অনেকটা তাঁর ছোট ভাইয়ের মতো, তেজস্বীও একজন বাঁ-হাতি ব্যাটার। ꧟তবে, তিনি উচ্চতায় কিছুটা খাটো মনে হচ্ছে এবং ব্যাটিংয়ের ধরণও একটু আলাদা। তিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে পছন্দ করেন, বিশেষত চার নম্বরে। যশস্বীর মতোই তিনিও একজন পার্ট-টাইম বোলার এবং তেজস্বীও বোলিং করার সময় তাঁর ডান হাত ব্যবহার করেন। যদিও তিনি একজন মিডিয়াম পেসার, অন্যদিকে ছোট ভ𝔉াই লেগ স্পিন করে থাকেন। ভাইয়ের পথে হেঁটে দাদারও স্বপ্ন ভারতের জার্সি গায়ে চাপানো।
রঞ্জি ট্রফিতে শুক্রবার একটি ঘটনাবহুল দিন ছিল। এদিন অপর আরেকটি ম্যাচে বিতর্কে জড়ায় মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক অঙ্কিত বাওনে। সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ম্যাচে এই ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, বল বাউন্স করার পর ফিল্ডারের হাতে গেছে। অঙ্কিত মাঠ ছাড়তে অস্বীকার করেন এবং ফলস্বরূপ খেলা প্রায় ১৫ মিনিট স্থগিত হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে সার্ভিসেসের বোলার অমিত শুক্লার ওভারে। তখন ৭৩ রানে ব্যাট করছিলেন অঙ্কিত। সেই সময় ব্যাট🔴ের কানায় লেগে বল স্লিপের দিকে চলে যায়। ফিল্ডার শুভম রোহিল্লা দাবি করেন, তিনি স্পষ্টভাবে ক্যাচ ধরেছ🍌েন। এরপর নন স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা আম্পায়ার নিতিন মেনন লেগ আম্পায়ারের সঙ্গে পরামর্শ করে আউট দেন। রিপ্লেতে দেখা যায় বল বাউন্স খেয়ে ফিল্ডারের হাতে গেছে। ম্যাচে DRS না থাকায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেওয়া হয়।