কিছুদিন পর অসমেও নির্বাচন রয়েছে। তাই সেখানকার কচ্ছ–রাজবংশীদের ভোটব্যাঙ্ক করায়ত্ত করতে সকাল সকাল ছুটলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তিনি অসমের চিরাং জেলার মহারাজ অনন্ত রাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক। তাই অন্তত মহারাজের সঙ্গে হাইভোল্টেজ বৈঠক সারলেন অমিত শাহ। তাঁকে অসমে আসতেই সঙ্গ দেন মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা, অসম বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। অসম বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।ঠিক কী হল এখানে? জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের বৈঠক চলে অধ ঘন্টা ধরে। সেখানে অমিত শাহের পাশে থাকবেন মহারাজ বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই কথা প্রকাশ্যে কেউ স্বীকার করেননি। এরপর তিনি কোচবিহারের জন্য রওনা দেন। যেখানে চতুর্থ পর্যায়ের পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন তিনি। এমনকী এখানে একটা সভা করার কথা রয়েছে শাহের। তবে অনন্ত রাই মহারাজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।অনন্ত রাই বরাবর কচ্ছ–রাজবংশীদের জন্য পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাবি করে আসছেন। এবার সেই আবেগে সুড়সুড়ি দেওয়া হল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে এই কচ্ছ–রাজবংশী ভোটার রয়েছে ১৮.৫ লাখ। সেই ভোট করায়ত্ত করতেই এই হাইভোল্টেজ বৈঠক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। কারণ এই ভোটাররা অনন্ত রাই মহারাজের দ্বারা প্রভাবিত হন। আর এই কচ্ছ–রাজবংশীরা তফসিলি উপজাতি তকমা পেতে চান। ২০১৬ সালে এই তকমা দেওয়া হবে বলে অসম বিধানসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার করেছিল বিজেপি। যদিও এখনও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। সেই বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে বলে খবর।এদিন সংবাদমাধ্যমকে অনন্ত রাই বলেন, ‘আমাদের দাবি পৃথক রাজ্য না পাওয়া পর্যন্ত দিল্লির সরকারকে সমর্থন করব। একইসঙ্গে আমাদের তফসিলি উপজাতির অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।’ অন্যদিকে অমিত শাহের সফর ঘিরে নতুন করে গ্রেটার কোচবিহার দাবি জেগে উঠেছে। এই গ্রেটার কোচবিহার দাবিতে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু অমিত শাহের কোচবিহারের রাজবংশী ভোটব্যাঙ্ক দখলে গ্রেটার কোচবিহারের দাবিকে কতটা গুরুত্ব দেবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।