অসমে বিধানসভা নির্বাচনের পর পরই ৫-৬ জন বিজেপি প্রার্থী যোগাযোগ করেছেন। এমনটাই দাবি করল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন AIUDF জোট।গত সপ্তাহেই জয়পুরে আসেন জেনেরাল সেক্রেটারি করিমউদ্দিন বারভুঁইয়া-সহ ২০ জন AIUDF প্রার্থীকে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, '৫-৬ জন বিজেপি প্রার্থী আমাদের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন।'সেই বিজেপি প্রার্থীদের নাম কী? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন করিমউদ্দিন। তিনি বলেন, 'নামগুলি এখনই প্রকাশ করা যাবে না। আগামী ২ মে ফল প্রকাশের পরেই জেনে যাবেন।'কিন্তু ফল প্রকাশের পর হঠাত্ দলবদল করলে তা অ্যান্টি-ডিফেকশানের আইনের আওতায় পড়বে না?এর উত্তরে AIUDF-এর এক প্রার্থীর দাবি, 'প্রয়োজনে তাঁরা আবার নির্বাচনে অংশ নেবেন।'কিন্তু ঠিক কী কারণে তাঁরা জয়পুরে এসেছেন?২০ জন AIUDF প্রার্থী হঠাত্ নির্বাচনের মরশুমে জয়পুর গেলেন কেন, তাই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কোথাও বলা হচ্ছে, প্রাণঘাতী আক্রমণের ভয়েই দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। আবার কোথাও রিপোর্ট, ঘোড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা দূর করতেই তাঁদের জয়পুর এনে চোখে চোখে রাখা হচ্ছে।তবে এসব জল্পনা উড়িয়ে দিলেন করিমউদ্দিন। 'আসলে একটানা নির্বাচনী প্রচারের ব্যস্ততা চলছে তো, এবার একটু ছুটি কাটাতে এসেছি আমরা। আজমের শরিফ দরগায় ভ্রমণ করতেই এসেছি আমরা,' দাবি তাঁর।তবুও কমছে না জল্পনা২০ জন প্রার্থী যে হোটেলে রয়েছেন, এর আগেও কংগ্রেসের নাম জড়িয়ে তার সঙ্গে। কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও সচিন পাইলটের অন্তর্কলহের সময়েও এই হোটেলেই এসে থেকেছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা।বিজেপির বক্তব্যতবে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমক্রাটিক ফ্রন্টের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। AIUDF-এর দাবি ভিত্তিহীন বলে জানায় অসমের বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপির মুখপাত্র রূপম গোস্বামীর দাবি, 'আমাদের কোনও সদস্যই ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। নেতৃত্বকে না জানিয়ে অন্য দলের সঙ্গে আলোচনা করেন না আমাদের সদস্যরা।'