সমনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে বাজতে শুরু করেছে লোকসভা নির্বাচনের সুর। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই তো রাজ্যের সেমিফাইনাল। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে জোর ঝটকা দিয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে রাজ্যে তখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩। তবে লোকসভায় ১৮টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। এরপর অবশ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ফল ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ১০০ আসনও পার করতে পারেননি দিলীপ ঘোষরা। তবে সামনে আরও একটি লোকসভা নির্বাচন। যার জন্যে কোমর কষতে শুরু করেছেন দিল্লির নেতারা। (আরও পড়ুন: ২০২৪-এ কোন রাজ্যে কে কত আসন পেতে পারে? কী বলছে সমীক্ষা)
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পালে হাওয়া লাগার অন্যতম কারণ ছিল ২০১৮ সালেরও পঞ্চায়েত ভোট। স্থানীয় নির্বাচনে শাসকদলের বাহুবল মেনে নিতে পারেননি বহু ভোটার।𒆙 আর তারই প্রতিফলন ঘটেছিল লোকসভার ইভিএম-এ। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও রক্ত ঝরতে শুরু করেছে। শাসক-বিরোধী মিলিয়ে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এই আবহে এখন যদি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে কোন দলের ঝুলিতে কটি আসন যাবে? 'টাইমস নাও নবভারত'-এর জনমত সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে লোকসভার ৪২টি আসনে ভোটগ্রহণ হলে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর হবে বিজেপি ও তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আশাতীত ফল করলেও বাংলায় সেভাবে সংগঠন গুছিয়ে উঠতে পারেনি তারা। কতকটা 'মোদী হাওয়া' এবং কিছুটা 'প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা' থেকে গতবার ভালো ফল করেছিল বিজেপি। সেখানে সিপিএমের ঝুলিতে এসেছিল শূন্য। কংগ্রেসের মুখ রক্ষা করেছিলেন অধীর রঞ্চন চৌধুরী। 'টাইমস নাও নবভারত'-এর জনমত সমীক্ষা বলছে, এখনই যদি রাজ্যে নির্বাচন হয়, তাহলে পু🦋নরাবৃত্তি ঘটতে পারে ২০১৯ সালেরই। অর্থাৎ, তৃণমূল পেতে পারে ২০ থেকে ২২টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ১৯ থেকে ২০টি আসন। এদিকে বামেরা পেতে পারে ১ থেকে ২টি আসন এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১ থেকে ২টি আসন।
এদিকে সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একটি জনমত সমীক্ষা প্রকাশ করেছিব এবিপি আনন্দ। সেই সমীক্ষা করেছিল সিভোটার। সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদের মধ্যে তৃণমূলের দখলে যাবে ১৫টি। আসনের ভিত্তিতে ৯২৮টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেতে পারে ৬৮৪টি। বিজেপি পেতে পারে ১৭৫ থেকে ২৭৫টি। বাম-কংগ্রেস ৫৭ থেকে ১২০টি পেতে পারে🍎।