পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্ঘণ্ট ঘোষণা থেকে মনোনღয়ন–পর্ব পর্যন্ত অশান্ত হয়ে উঠ🎐েছে রাজ্য–রাজনীতি। আর তার জেরে বলি হতে হয়েছে একের পর এক রাজনৈতিক নেতা–কর্মীকে। এটা সব জেলাতেই কম–বেশি দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার মধ্যে সবচেয়ে নজর কেড়েছে ভাঙড়। এখানে বোমা এবং গুলির শব্দে তপ্ত হয়ে উঠছে বাতাবরণ। বাধ্য হয়ে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখানের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচনী কমিটির বৈঠক ডেকে ভাঙড়ের দায়൲িত্বে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সল্টলেকের নেতা সব্যসাচী দত্তকে। আর রাজ্যের পক্ষ থেকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল সওকত মোল্লাকে। ঠিক তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার আইএসএফ বিধায়কের চিঠির প্রেক্ষিতে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং ভাঙড় জুড়ে এখন নিরাপত্তা বাহিনীর বুটের শবᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্দ শোনা যাবে। তার সঙ্গে যদি সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করতে হবে তাহলে কার্যত কাশ্মীর পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দ🍨িকীকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় বা✨হিনীর নিরাপত্তা চেয়ে গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছিলেন নওশাদ। সেই চিঠিতে তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ওই চিঠির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নওশাদ সিদ্দিকীকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেটা কার্যকর হলে ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন নওশাদ সিদ্দিকীর 🦄সঙ্গে। ইতিমধ্যেই এই বিধায়কের সঙ্গে বিজেপি মন্ত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। তারপর এই নিরাপত্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলকে ওখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা। তাঁর উপর হাম😼লা হতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকার নওশাদকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়ে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেনꦕ। নওশাদের চিঠি অমিত শাহের কাছে পৌঁছতেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল নিত্যানন্দের কাছে। তারপর অমিত শাহের অপর ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গেও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই নিরাপত্তা দেওয়া হবে আইএসএফ বিধায়ককে।