আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর দ্বিমুখী নীতি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁর দাবি, ভাঙড়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বোমা–গুলি চলছে ভাঙড়ে। তাতে দু’জনের প্রাণ হারিয়ে গিয়েছে। এমনক✨ী তাঁকে খুন করা হতে পারে। এমন সব অভিযোগ নিয়ে তিনি দু’দিন আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। যদিও তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে নওশাদ আবার দেখা করবেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন নওশাদ সিদ্দিকী।
এই চিঠিতে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে তা নিয়ে নালিশ ঠুকেছেন। এমনকী তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন আইএসএফ বিধায়ক। যদিও গতকাল ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করে ছিলেন, ভাঙড় এবং চোপড়ꦏার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। তিনি সরাসরি আইএসএফ এবং বিজেপির উপর দোষারোপ করেছিলেন। তারপরই এমন চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এই চিঠিতে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন ভ♏াঙཧড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমাকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হোক। কারণ আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন আইএসএফ বিধায়ক। এই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভাঙড়ের গত দু’দিনে ব্যাপক হিংসা হয়েছে। সূত্রের খবর, গত ২২ মে তারিখেও অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। সেখানেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা চেয়ে নানা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে🥃 সে বিষয়ে এখনও কোনও সাড়া মেলেনি।
অন্যদিকে আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নি♊র্বাচন। যার মনোনয়ন জমার কাজ গতকালই শেষ হয়েছে। তারপর দেখা যাচ্ছে, গ্রামবাংলার এই নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বিরোধীরা সব জায়গায় প্রার্থীই দিতে পারেননি। তাই কৌশলে এমন চিঠি লেখা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ইতিমধ্যেই নবগ্রাম থেকে বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণের খবর সামনে এসেছে। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিকে পিটিয়ে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। অমিত শাহকে এখন ফোন করে হিংসার কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।