একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠছে। কখনও খুন করা হচ্ছে। কখনও খুনের চেষ্টা। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই শাসক দলের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। 🥃মালদা থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম—সর্বত্র তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মী এবং প্রার্থীদের উপর হামলা করা হচ্ছে বলে খবর। কুপিয়ে খুন, গুলি করে খুনের খবর বারবার উঠে আসছে। এবার বড় ঘটনা ঘটে গেল উত্তরবঙ্গের রায়গꩵঞ্জে। এখানেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে খুনের চেষ্টা করা হল। আর এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছে রায়গঞ্জে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এবার প্রকাশ্যে হামলা করা হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর উপর। আর এই হামলা বা খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করে বাড়ি ফেরার সময় অনেকটা রাত হয়ে যায়। তবে রাতের মধ্যেই বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তখন জগদীশপুর এলাকার কুমারপাড়া ২ নমꦐ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চলে ঘাপটি মেরে থাকা বিজেপির লোকজন হামলা চালায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়। তবে গুলির শব্দে ওই রাতে অনেকের ঘুম ভেঙে যায়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বেশি রাতে লোকেস্বর বর্মণ ও তার দাদা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার করে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন কেউ বা কারা তাঁদের উপর হামলা করে। ধারাল অস্ত্রের আঘাতের দাগ মিলেছে শরীরে। দু’রাউন্ড গুলি চলার প্রমাণ মিলেছে। তবে গুলি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর গায়ে লাগেনি। এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকজন বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আর আহত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এবং তাঁর দাদাকে স্থানীয় হাসপা♌তালে𓄧 নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। দোষীরা কেউ ছাড়া পাবে না।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল–বিজেপি? এই ঘটনার পর আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাসপাতা💙লে শুয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রচার কর𓆉ে বাড়ি ফেরার সময় আমার উপর হামলা করেছে বিজেপি। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলতে গুলিও চালিয়েছিল। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এখানে বিজেপি হেরে যাবে বলে এই হামলা করেছে।’ এখন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আহত অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও সমস্ত ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করেছেন বিজেপির নেতা অভিজিৎ যোশী। তিনি বলেন, ‘এটা তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল। বিজেপির ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে।’