শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্💯দ্রে এবার প্রেস্টিজ ফাইট তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে বিজেপিকে হারানো মানেই শুভেন্দুকে হারিয়ে জয়ের হাসি হাসা। সেখানে জমি আন্দোলনের নেতা শেখ সুফিয়ানকে টিকিট দিল না তৃণমূল কংগ্রেস। তার জের🍒ে গোটা নন্দীগ্রামের আবহ তপ্ত হয়ে উঠল। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক পার্টি অফিসে তালা পড়ল। তখন নন্দীগ্রামে ছুটে গিয়ে পার্টি অফিস খুলিয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। মাঝরাতে কুণালের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠেছে। তারপর ঠিক হয় নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক থেকে জেলা পরিষদে শেখ সামসুল ইসলাম প্রার্থী হবেন।
এদিকে এই শেখ স🌼ুফিয়ান একুশের বিধানসভা ꦛনির্বাচনে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন। তিনিই এবার টিকিট না পাওয়ায় নন্দীগ্রামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে নির্দল হিসাবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শেখ সুফিয়ান। তখন পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সরাসরি শেখ সুফিয়ানের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। বিষয়টি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়েছেন। তারপর অনেক বুঝিয়ে শেখ সুফিয়ানকে নির্দল আসনে না দাঁড়ানোর বিষয়ে রাজি করিয়ে নেন। তখনই কুণাল ঘোষ জানিয়ে দেন শেখ সামসুল ইসলামই হচ্ছেন প্রার্থী। আর তাঁকেই জেতাতে হবে।
সুফিয়ান বিষয়টি মেনে নিতে পারলেন? অন্যদিকে সুফিয়ান একদিন আগেই আদালতে সময় দিয়েছেন। তাঁর নামে মামলা রয়েছে। এমনকী কেন্দ্রীয় সংস্থাও সুফিয়ানের উপর নজর রেখেছে বলে꧒ খবর। তাই হয়তো তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে এবার প্রার্থী করল না। এই বিষয়ে অবশ্য সুফিয়ান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন একনিষ্ঠ সৈনিক। দল যখন যে দায়িত্ব দেয় সেটা আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করি। টিকিট না পেলেও দলের কাজ করে যাব।’ সুফিয়ান এই ন♒ন্দীগ্রামকে হাতের তালুর মতো চিনলেও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী অনেক। সুতরাং তাঁকে টিকিট দিলে এখানে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। 𒁃তাই প্রার্থী পরিবর্তন বলে সূত্রের খবর।