পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে চক্রান্তের তত্ত্ব তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত ১৫টি খুনের খবর এসেছে। তার মধ্যဣে ৯ জনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং প্রার্থী রয়েছে বলে দাবি শাসকদলের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই হিংসা ও অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। আর পড়তে শুরু করে একের পর এক লাশ। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ এবং খড়গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া হিংসা ও খুনের ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ এবং দিনহাটায়।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনেই মৃত্যু হল ১৫ জনের। আর তার মধ্যে মুর্☂শিদাবাদ জেলাতেই প্রাণ গেল ৫ জনের। বাকি গিয়েছে অন্যান্য জেলায়। সারাদিনের এই তপ্ত আবহে শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলায় ভোট পড়েছে ৬৬.২৮ শতাংশ। দেদার ছাপ্পার যে অভিযোগ বিরোধীরা করেছেন তার সঙ্গে এই শতাংশের মিল খুঁজে পাওয়🐠া যায়নি। সবচেয়ে হিংসা–খুনের ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। দফায় দফায় বোমাবাজি এবং গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। এখানের কাপাসডাঙায় এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর নাম বাবর আলি।
অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবশ্য দাবি করেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় শনিবার মাত্র তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং অন্যান্য জেলা। একদিনে ১৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। লালগোলায় খুন হন এক সিপিএম সমর্থক। নাম রওশন আলি। নওদাতে নিহত হন এক কংগ্রেস কর্মী। আর মানিকচক এলাকায় এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হন। কোচবিহার🌼ে বিজেপির এক পোলিং এজেন্টকে খুন হতে হয়। দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকে বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন এবং তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম চিরঞ্জিত কার্জি।
আরও পড়ুন: ‘উৎ💃সবের মেজাজে ভোট হয়েছে, সন্ত্রাস বিরোধীরা করে✤ছে’, মন্তব্য তৃণমূল নেতৃত্বের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই পর পর হিংসার ঘটনায় টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে লেখা হয়, ‘শিউরে ওঠার মতো একের পর এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে শকওয়েভ কাজ করছে। রেজিনগর, তুফানগঞ্জ, খড়গ্রামে তিনজন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। ডোমকলে গুলিতে দুই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছেন।’ উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখোরে খুন হন তৃণমূলের বিদায়ী প্রধানের স্বামী। হেমতাবাদে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর দেহ মেলে। গোয়ালপোখরে কুপিয়ে খুন করা হয় মহম্মদ জামিলুদ্দিন নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে। পূর্ব বর্ধমানের রাজিবুল হক সিপিএমের কর্মী বলি হয়েছেন। নদিয়ার🍰 চাপড়ায় খুন হন এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। আর বাসন্তীতে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর।