শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে রাজ্যজুড়ে বয়েছে রক্তগঙ্গা। সন্ত্রাসের ছায়ায় এই নির্বাচনে ভোটদানের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসক – বিরোধী দুপক্ষের বিরুদ্ধেই। ভোট বাতিলের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপিসহ একাধিক বিরোধী দল। এবার একই সুরে রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাল তৃণমূল। তাদের দাবি, বিরোধীদের সন্ত্রাসে বেশ কিছু এলাকায় সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি।রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ছাপ্পার অভিযোগ এনেছেন। সেই সব খতিয়ে দেখে দলের তরফে পুনর্নির্বাচন দাবি করা হবে। তবে কোন কোন জায়গায় পুনর্নির্বাচন চাইবে দল তা এখনো ঠিক হয়নি।’তৃণমূলের মুখপাত্রের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলে বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল। সেকথা অনুমান করেই আগে থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ চাপিয়ে রাখছে শাসকদল। যে রাজ্যে শাসকদলের নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশের চোখের পাতা পড়ে না। শাসকদলের নির্দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মুড়িমুড়কির মতো ভুয়ো মামলা দিতে দেখা যায় পুলিশকে। যেখানে খোদ প্রিসাইডিং অফিসারকে ছাপ্পা দিতে দেখা যায়, সেখানে কি হারের আশঙ্কা করছে তৃণমূল?