ভাঙড়ে যাওয়ার আগেই রাজারহাটে আটকে দেওয়া হল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। আজ, শুক্রবার ভাঙড়ে নিহত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশ🃏াদ সিদ্দিকী। কিন্তু এখন ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ফলাফল প্রকাশ হলেও সেখানে উত্তেজনা রয়েছে। তাই ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভাঙড় যাওয়ার পথে নিউটাউনের হাতিশালার কাছে নওশাদের পথ আটকায় কলকাতা পুলিশ। তখন পুলিশ–প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দেন নওশাদ সিদ্দিকী।
এলাকার বিধায়ককে কেন ভাঙড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না? এই প্রশ্ন তোলেন খোদ൲ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদের গাড়ি আটকে রাস্তার উপর ব্যারিকেড করে দেওয়ায় পুলিশকে এমন প্রশ্ন করে ক্ষোভ দেখান। তারপর গাড়িতে বসেই সংবাদমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন নওশাদ। যদিও পুলিশ গাড়ি–সহ এলাকা ঘিরে রেখেছে। পুলিশ তাঁকে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নওশাদ। এমনকী পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি ভাঙড়ে🎃র জনপ্রতিনিধি। আমার পরিচয়পত্র আছে। তাহলে কেন যেতে পারব না?’ এই কথা বলে চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। পুলিশ তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করলে আরও জোর চিৎকার করতে থাকেন।
পাল্টা পুলিশ কী বলছে? এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ভাঙড়ে। এমনকী তেমনই অর্ডার রয়েছে পুলিশের হাতে। আর সেখানে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে, এখানে যাতায়াতে কাদের ছাড় দেওয়া হবে। তাছাড়া জেলা পুলিশেꦰর পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ী এবং আইন অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। বরং পাল্টা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেখানে যাওয়ার তাঁর অনুমতি নেই।𓄧’ যদিও নওশাদের অভিযোগ, ‘তৃণমূলের নেতারা ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ আমি বিধায়ক আমায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: বৈদ্যবাটিতে তুমুল বিক্ষোভে ব্যাহত হয়ে পড়ে ট্রেন পর🙈িষেবা, স্বাভাবিক হতে 🐻লাগল সময়
তারপর ঠিক কী ঘটল? পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ভাঙড়ই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এসে ঘুরে গিয়েছেন। আর এখন নওশাদের অভিযোগ, ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুনের খোঁজ মিলছে না। শুধু তাই নয়, ভাঙড়ে মাঝরাতে গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে। মারাও গিয়ে𝕴ছেন তিনজন। জাহানারা খাতুন এবং তাঁর স্বামীর খোঁজ এখনও মেলেনি। এরপরেই নওশাদের হুঁশিয়ারি, ‘কতক্ষণ আটকে রাখে দেখব। আমি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরো ভাঙড়ে তল্লাশি করা হোক।’ আর ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আমরা কেউ ঢুকতে পারছি না। আবার উস্কানি দিতে যাচ্ছেন নওশাদ। আবার খুনোখুনি চাইছেন।’