২০২৩ সালে একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। ভোট রয়েছে ছত্তিশগড়েও। আর সেখানেই বিজেপির হয়ে প্রচারে গিয়ে এক মন্তব্যের জেরে বিপাকে পড়লেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে তাঁর ‘আকবর’ মন্তব্🦄যের জন্য নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের একমাত্র মুসলিম মন্ত্রীর দিকে তাক করে হিমন্ত একটি মন্তব্য করেন। সেই মন্ত্রীর নাম মহম্মদ আকবর। ছত্তিশগড়ে বিজেপির ভোট প্রচারে গিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা ওই মন্তব্য করেন। তারপরই নির্বাচন কমি🦩শনের নোটিস যায় হিমন্তর কাছে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ছত্তিশগড꧋়ে গিয়ে ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেন হিমন্ত।
এদিকে, হিমন্তের কাছে যে শো কজ নোটিস নির্বাচন কমিশনের তরফে পাঠানো হয়েছে, সেখানে🅷 সাফ জানানো হয়েছে কবের মধ্যে হিমন্তকে তার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে। শোকজের উত্তর দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ অক্টোবর বিকেল ৫ টা। উল্লেখ্য, হিমন্তর যে মন্তব্যের দেরে এই বিতর্ক, তা মধ্যপ্রদেশের কাওয়ারধাতে তিনি গত ১৮ অক্টোবর চতুর্থীর দিনে করেছিলেন। বিজেপির জনসভা থেকে তিনি বলেছিলেন,' একজন আকবর এলে , সঙ্গে আরও ১০০ আকবর আসে, ফলে তাঁকে দ্রুত ভাগিয়ে দেওয়া দরকার, নয়তো মা কৌশল্যার ভূমির পবিত্রতা আপোশ করা হবে।' উল্লেখ্য ছত্তিশগড় নিয়ে রয়েছে একটি প্রচলিত মত। বলা হয়, শ্রীরামচন্দ্রের মা কৌশল্যা ছিলেন ছত্তিশগড়ের কন্যা। সেই অনুযায়ী হিমন্ত একথা বলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ‘আকবর’ শব্দ ঘিরে যে মন্তব্য হিমন্ত করেছেন, তাতে কমিশন পদক্ষেপ করেছে। প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়ের কাওয়ারধায় বিজেপির প্রার্থী বিজয় শর্মার জন্য প্রচারে গিয়েছিলেন হিমন্ত। সেখানে প্রচার মঞ্চ থেকে হিমন্ত বলেন, আজ যদি আমাদের ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করতে হয়, লাভ জিহাদ শেষ করতে হয় এবং আকবরের হাত থেকে ছত্তিশগড়ের মানুষকে বাঁচাতে হয়, তাহলে আমাদের বিজয়ের (বিজেপির প্রার্থী) মতো লোক দরকার।
উল্লেখ্য, ৯০ আসনের ছত্তিশগড় বিধানসভায় ভোট আগামী ৭ ও ১৭ নভেম্বর। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে ৩ ডিসেম্বর। এই রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস। বিরোধীদের সিট-এ রয়েছে বিজেপি। ছত্তিশগড়ে ৪৫ আসন ম্যাজিক ফিগার। এই জায়গা থেকে এই আসন বিজেপির কাছে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে এই আসন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।