ভোট হয়েছিল কর্ণাটকে। জিতে গিয়েছে কংগ্রেস। ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। একেবারে বিপুল জয় পেয়েছে কংগ্রেস। উল্লসিত কংগ্রেস শিবির। মন মরা বিজেপি শিবির। কে কত শতাংশ ভোট পেয়েছেন তা নিয়ে চুলচেরা হিসাব করা হচ্ছে। কংগ্রেসের ভোট শতাংশ নিঃসন্দেহে চমকে দেওয়ার মতো। কিন্তু নোটার ঘরে কত ভোট পড়ল? নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুসারে সব মিলিয়ে ২.৬ লাখ ভোটার কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে নোটার ঘরে ভোট দিয়েছেন।দুপুর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুসারে দেখা যাচ্ছে, ৩.৮৪ কোটি মানুষের মধ্য়ে ২,৫৯,২৭৮ অর্থাৎ ০.৭ শতাংশ মানুষ নোটার পক্ষে ভোট দিয়েছেন।২০১৩ সালে ইভিএমে এই নোটা অপশনটা যুক্ত হয়েছিল। গত ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন এই নোটার বোতামটি ইভিএমে যুক্ত করেছিল। ভোটিং প্যানেলে শেষতম অপশন হিসাবে এই বোতামটি যুক্ত করা হয়েছিল।সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুসারে যাদের কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ নয় তারা এই নোটা বোতামটি টিপতে পারেন। তবে কারা এই বোতাম টিপছেন সেটাও গোপন থাকাটা বাঞ্চনীয়। তবে এবার কর্ণাটকের ভোটের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে ২.৬ লাখ ভোটার কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে নোটার ঘরে ভোট দিয়েছেন।তবে এবার প্রশ্ন যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নোটার পক্ষে ভোট দিতেন তবে কী হত? তবে কি আবার ভোট হত? এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নতুন করে কিছু জানায়নি।আমেদাবাদের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন এই নোটা প্রতীকটি তৈরি করেছিল। ভোটের প্যানেল তৈরির জন্য় ওই নোটা প্রতীকটা তৈরি করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রতিবারই ভোট হলে নোটায় কত ভোট পড়ল তার প্রতি সাধারণ মানুষের বাড়তি আকর্ষণ থাকে। অর্থাৎ এটা মোটামুটি বোঝা যায় ওই সমস্ত ভোটাররা ভোট দিলেও তাঁদের কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ হয়নি।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup