আবগারি দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ালের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে বিজেপিকে তোপ দেগে তৃণমূল নেতার প্রশ্ন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়ালের যদি জেল হয়, তাহলে বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা কেন মুক্ত আছেন?' এদিকে সম্প্রতি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, নির্বাচনী বন্ড স্বচ্ছতার খাতিরে আনা হয়েছিল। তাঁর আরও দাবি ছিল, এই নির্বাচনী বন্ড নিয়ম বন্ধ হওয়ায় বিরোধী দলগুলির মাথাতেও হাত পড়বে। তবে মোদীর সেই দাবি এবং বক্তব্য মাতে নারাজ অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, চেক, এনএফটি বা আরটিজিএস-এর মাধ্যমে টাকা নিক রাজনৈতিক দলগুলি। নির্বাচনী বন্ডের কী দরকার? (আরও পড়ুন: ‘অনে⭕ক মুসলিমের নাম নেই তালিকায়’, UP-তে বুথ দখলের অভিযোগ BJP-র নামে)
আরও পড়ুন: ভোটের সময় মাথাভাꦓঙা, শীতলকুচিতে তৃণমূলকে ✅মার বিজেপির
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ঘিরে সরগরম হয় জাতীয় রাজনীতি। অভিষেক বলেন, 'যে আবগারি দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তাতে তথাকথিত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে। যদি অভিযোগ সত্যি বলে ধরেও নেওয়া হয়, তাহলে ওই ১০০ কোটির মধ্যে ৫০ কোটি তো বিজেপি-তে গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে! তাহলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জেলে থাকলে, জেপি নড্ডা জেলে যাবেন না কেন?' এদিকে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে মোদী বলেছিলেন, নির্বাচনী বন্ড ছিল বলেই কোন দলকে, কে চাঁদা দিয়েছে, তা বোঝা সম্ভব হয়েছে। এই যুক্তির জবাবে অভিষেকের পালটা যুক্তি, 'চেক, এনএফটি বা আরটিজিএস-এর মাধ্যমে টাকা নিক রাজনৈতিক দলগুলি। নি🧸র্বাচনী বন্ডের কী দরকার?'
প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত পি শরৎচন্দ্র রেড্ডিকে এই মামলায় কেজরির বিরুদ্ধে সাক্ষী করেছে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় রেড্ডিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, রেড্ডি অরবিন্দ ফার্মা নামক ওষুধ সংস্থার ডিরেক্টর। রেড্ডির গ্রেফতারির পর সেই সংস্থাই পাঁচ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এসবিআই-এর ইউনিক নম্বর প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, সেই বন্ড নাকি বিজেপির খাতাতে জমা পড়েছিল। পরে এই রেড্ডি জামিনের আবেদন করলে ইডি তার বিরোধিতা করেনি বলে দাবি। আরও দাবি করা হচ্ছে, রেড্ডি জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর আরও ২৫ কোটি টাকার বন্ড কিনেছিল অরবিন্দ ফার্মা। সেই ♔টাকাও গিয়েছিল বিজেপির পকেটেই।
রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রেড্ডির ওষুধ প্রস্তুকারক সংস্থা মোট ৫২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এরꦕ মধ্যে ৩৪.৫ কোটি টাকার বন্ড জমা পড়েছে বিজেপির খাতায়। এদিকে রেড্ডির আরও একটি সংস্থা আছে। সেটির নাম - এপিএল হেলথকেয়ার। এই সংস্থাও ১০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। এই ১০ কোটির পুরোটাই বিজেপির খাতাতেই জমা পড়ে বলে দাবি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে রেড্ডির দুই সংস্🌟থা থেকে বিজেপির পকেটে ৪৪.৫ কোটি টাকা ঢুকেছে। আর একদা অভিযুক্ত রেড্ডি এখন ইডির হয়ে রাজসাক্ষী দিচ্ছেন কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে।