জাতিগত জনগণনার জেরে একটা সময়ে বিহারে বিজেপি এবং জেডিইউ-র মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। পরে তাদের জোটও ভেঙে যায়। অবশ্য লোকসভা ভোটের আগে সেই সব 'ক্ষোভ' দূর হয়ে গিয়েছে। এবার বিজেপির অপর এক সঙ্গী জাতিগত জনগণনার পক্ষে সওয়াল করল। গতকালই অজিত পাওয়ারের এনসিপি তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। সেখানেই তারা জাতিগত জনগণনাকে সমর্থনের কথা বলেছে। উল্লেখ্য, এই জাতিগত জনগণনা ইস্যুতে বিজেপিকে বারবার তোপ দেগেছে কংগ্রেস। এদিকে 'দেশে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা' আখ্যা দিয়ে এই ইস্যুকে এড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি। তবে এবার বিজেপির সঙ্গী জাতিগত জনগণনার পক্ষে সওয়াল করায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে নয়া জল্পনা তৈরি হয়েছে। (আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে কাজ করলে মিলবে ন𝔉া ভ্যারিয়েবল পে, কড়া নির্দেশ এই ভারতীয় IT সংস্থার)
আরও পড়ুন: আমূল বদলে গেল নিয়ম,﷽ দেশের সকলকে স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনতে নির্দেশিকা IRDAI-এর
কয়েক মাস আগে কাকা শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল ভেঙে বিজেপির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। তবে লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে অজিতের বক্তব্য, আমি আমার নীতি-নৈতিকতা ত্যগ করিনি। তিনি বলেন, 'আমি বিজেপি, শিবসেনা জোটের সঙ্গে আছি বটে। তবে আমি আমার নীতি ত্যাগ করিনি। আমি এটা☂ স্পষ্ট করে দিতে চাই, আমরা আমাদের নীতির✨ প্রতি নিষ্ঠাবান এবং সেই মতো কাজ করে যাব।'
আরও পড়ুন: সামরিক 𒆙বাজেটে চিন থেকে বহু হস্🔥ত পিছিয়ে ভারত, পাকিস্তান কত নম্বরে জানেন?
এদিকে এনসিপির ইস্তাহারে আরও বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যশবন্ত রাও চহ্বানের জন্য ভারত রত্নের দাবি করবেন তারা। এছাড়াও মারাঠিকে 'ক্লাসিকা꧟ল ভাষা' তকমা দেওয়ারও দাবি তোলা হবে বলে নিজেদের ইস্তাহারে জানিয়েছে এনসিপি। এদিকে এনসিপির ইস্তাহারে রয়েছে 'বিজেপির মন্ত্র' - সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস। ইস্তাহার প্রকাশের সময় অজিত পাওয়ারের গলায় নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা শোনা যায়। তিনি বলেন, 'মোদীর নেতৃত্ব এই নির্বাচনে আমাদের জয় নিশ্চিত করবে। বিরোধী জোটে এমন কেউ নেই যে মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। তিনি এনডিএ-র মুখ।'
এদিকে এর আগে কংগ্রেস নিজেদের ইস্তাহার প্রকাশ করে দাবি করেছিল, তারা যদি ক্ষমত𒈔ায় আসে তাহলে তারা জাতিগত জনগণনা করবে। এদিকে বিজেপি জাতিগত জনগণার 'বিরোধিতা' না করলেও 'রাজনীতি না করার' কথা বলে তা এড়িয়ে গিয়েছে। এই ইস্যুতে সম্প্রতি মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয়🍒 স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, 'বিজেপি কখনও জাতিগত জনগণনার বিরোধী নয়। তবে আমরা একটা জাতীয় রাজনৈতিক দল। এই ধরনের ইস্যু নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সঠিক সময়ে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'