অসম-সহ সমগ্র উত🌼্ত♛র-পূর্বের রাজ্যগুলিকে 'ভারতের অষ্টলক্ষ্মী' বলে সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে একথা বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হি🐼ন্দু শাস্ত্র অনুসারে, অষ𝄹্টলক্ষ্মী হল ধনদেবী লক্ষ্মীর আটটি বিশেষ রূপ। যার প্রত্যেকটিকেই উন্নতি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়।
শুক্রবার দিল্লিতে প্রথমবারের ꧅জন্য বোড়োল্যান্ড মহোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠ🏅ানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার কাছে অসম-সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল হল ভারতের অষ্টলক্ষ্মী। এবার থেকে পূর্ব ভারতেই উন্নয়নের সূর্যের উদয় ঘটবে। যা উন্নত ভারত গড়ে তুলতে শক্তি সরবরাহ করবে।'
মোদীর বক্তব্য, 'এই কারণেই উত্তর-পূর্ব ভারতে পা🏅কাপাকিভাবে শান্তি কায়েম করতে আমরা লাগাতার কাজ করছি। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে সীমানা সংক্রান্ত যেসমস্ত বিবাদ রয়েছে, তা দূর করার জন্য আমরা স্থায়ী সমাধান খুঁজছি।'
সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, তাঁর সরকার বোড়োল্যান💜্ডের উন্নয়নের জন্য ১,৫০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
এরই সঙ্গে মোদী বলেন, 'অসমের সরকারকেও বিশেষ উন্নয়ন প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। বোড়োল্যান্ডের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শুধুমাত্র পরিকাঠামো গড়ে তুলতেই ৭০০ কಞোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়েছে।'
এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই বোড়ো সমাজকে হিংসা ত্যাগ করཧে শান্তি স্থাপনের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই প্রসঙ্গে ২০২০ সালের🗹 শান্তি চুক্তির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তাঁর দাবি, ২০২০ সালের ওই চুক্তির মাধ্যমে অসম🎉ের ১০ হাজারেরও বে𓂃শি যুবক-যুবতীকে অস্ত্র সংবরণ করাতে রাজি করানো হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন।
একই কারণে ভারতের এই অঞ্চলগুলিতে সম্পাদিত অন🌼্যান্য শান্তি চুক্তিগুলির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষণে উঠে আসে, আগে যে যুবকরা অসমে বিভিন্ন হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এখন তাঁরাই ক্রীড়া ক্ষেত্রে সুনাম♈ অর্জন করছেন।
মোদীর দাবি♋, গত চার বছরে বোড়োল্যান্ডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে উন্নয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তি চুক্তির এহেন ইতিবাচক ফলাফল দেখে তিনি যে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন, সেকথাও জানিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বোড়ো শান্তি চুক্তির ফলে শুধুমাত্র যে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষই উপকৃত হয়েছে, তা নয়। বরং, এর ফলে অন্যান্ত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পথও প্রশস্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে অসমের বনাঞ্চল এক দুর্গম স্থান ছ⭕িল। কিন্তু, এখন সেই বনভূমিকে আশ্রয় করেই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছে যুব সমাজ।