ময়নায় কিছুদিন আগে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। সেই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আজ, বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। ময়নায় বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে পিটিয়ে, বোমা মেরে, গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। আজ সেই মামলার শুনানিতে একক বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল প্রধান বিচারপত༺ির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। তখন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, যেহেতু ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্ত শুরু করেছে ✃সেহেতু সেখানে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত।
এদিকে ময়নার এই বিজেপি কর্মী খুনের পর সেখানে বিজেপির তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা প্রাক্তন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গিয়েছিলেন বলে খবর। ওই পরিবারের 🅰সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। কারণ সিঙ্গেল বেঞ্চের এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ 🅷করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের গিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ আজ সাফ জানাল, ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্ত শুরু করেছে। তাই সেখানে আর হস্তক্ষেপ করবে না কোর্ট। সুতরাং এই ঘটনায় এনআইএ তদন্ত শুরু হবে দ্রুতই।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরু𒈔দ্ধে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রীকে কুকথা ব♔লার নালিশ
অন্যদিকে ২০২৩ সালের মে মাসে বিজেপির ময়নার বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তখন মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। বিচারপতি এই খুনের মামলায় শুরুতে এসডিপিও’কে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে সেখান থেকে বোমা পাওয়া যায়। সে কথা স্বীকার করেছিল রাজ্য। কিন্তু পুলিশের চার্জশিটে বিষয়টি ছিল না। তা নিয়ে বেশ বিরক্ত হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী একাধিক অভিযুক্তের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেওꦑ অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই আবহ তৈরি হওয়ায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তখন এই মামলায় এনআইএ’কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।