ধরি মাছ না ছুঁই পানি—এই নীতি নিয়ে এগিয়ে চলতে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ব🐠্যাপক ভরাডুবি হয়েছে সিপিএমের। ইন্ডিয়া জোটে আছে সিপিএম। আর বাংলায় সিপিএম এবারও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়েছে। অথচ ইন্ডিয়া জোটে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করে চলেছে। ফলে সুবিধা হয়েছে বিজেপির। কারণ সেক্ষেত্রে একইরকম বিরোধিতা বিজেপির ক্ষেত্রে করতে দেখা যায়নি। এটাই বাংলার মানুষ মেনে নেননি। কি🀅ন্তু সিপিএমের দুই শীর্ষনেতা মহম্মদ সেলিম এবং সুজন চক্রবর্তী এই যুক্তি মানতে নারাজ। বরং বামেদের উপর মানুষ ভরসা করতে পারেনি বলে হয়েছে ভরাডুবি। এমনই যুক্তি দিলেন সিপিএম নেতারা।
এদিকে ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ২১ জনেরই জামানত জব্দ হয়েছে। শুধু মহম্মদ সেলিম এবং সুজন চক্রবর্তী জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। আর শনিবার মৌলালি যুব কেন্দ্রে দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচিতে দুই যোদ্ধাই ব্যাখ্যা করলেন পরাজয়ের কারণ। তবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর পথ জানান তাঁরা। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির মুখপত্র ‘ছাত্র সংগ্রাম’–এর প্রতিষ্ঠা দিবসে যোগ দেন সুজন–সꦺেলিম। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এই নির্বাচনে সবচেয়ে হতাশ হয়েছে বিজেপি। ২৪০টি আসনে আটকে গিয়েছে। আমরা হতাশ নই। অস্বস্তি বেড়েছে। আমরা কীভাবে রুজি–রুটি, স্থানীয়, জাতীয়, দৈনন্দিন ইস্যুতে নিজেদের যুক্ত করব সেটা ভাবতে হবে। ইস্যুর উপর জোড় দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নীরবচ্ছিন্ন বিপর্য♈য়’, বোসের বিরুদ্ধে এবার ফোঁস করলেন ব্রাত্য
অন্যদিকে এই সভা মঞ্চে ছিলেন লোকসভা নির্বাচনের তিন প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধর এবং প্রতীক–উর রহমান। এবার লোকসভা নির্বাচনে সেলিম ও সুজন–সহ সকলেই হেরেছেন। জামানত জব্দ হয়েছে তিন তরুণ প্রজন্মের প্রার্থীর। তাই সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘বিজেপিকে হারাতে বাংলায় মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। আর তৃণমূলকে হারাতে ব♍িজেপিকে ভোট দিয়েছেন। এই ন্যারেটিভ বদলের কাজটাই বামপন্থীদের করতে হবে।’ আর মহম্মদ সেলিমের বিশ্লেষণ, ‘আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম এই নির্বাচনে তেমনটা হল না। সাধারণভাবে একজনকে হারানোর জন্য হল।’ এখানে তিনি বিজেপির কথা বলতে চেয়েছেন।