একজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে বললেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ তার পালটা ‘মিস ইউনিভার্স’ বলে খোঁচা দিলেন প্রতিপক্ষ। বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে বেরিয়ে এভাবে একে অপরকে আক্রমণ পালটা আক্রমণ করলেন সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর এবং তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই দলের পক্ষ থেক🍒ে নির্বাচনী প্রচার মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুরের পেয়ারাপুর মুসলমান পাড়ায়। সেখানেই দুদলের মিছিল সামনাসামনি চলে আসে। তখন একে অপরকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ পালটা কটাক্ষ করেন দুই দলের প্রার্থী এবং কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ক🥀ল্যাণের সভায় দীপ্সিতাকে নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদ 𒐪করায় সিপিএম কর্মীকে মারধর
বুধবার বড় বেলু থেকে প্রচার শুরু করেন দীপ্সিতা। সেই সময় কল্যাণও প্রচার অভিযান চালাচ্ছিলেন। মুসলমান পাড়ায় সামনাসামনি হয় দুই দলের মিছিল। একদিকে, সিপিএমের মিছিল থেকে ‘তৃণমূল হটাও’ ধ্বনি ওঠে। অন্যদিকে, তৃণমূলের মিছিল থেকে ‘সিপিএম হটাও’ স্লোগান ওঠে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তিনিও সিপিএমকে বিজেপির দালাল বলার পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীপ্সিতার মিছিলকে যাওয়ার রাস্তা করে দেন। তবে দুই প্রার্থীর মিছিল মুখোমুখি হলেও অবশ্য সামনাসামনি হননি দীপ্সিতা ও কল্যাণ। পরে অবশ্য দুজনেই একে অপরকে কটাক্ষ করেছেন।
দীপ্সিতা কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি ওঁকে খুঁজছিলাম কিন্তু দেখতে পেলাম না। উনি হয়তো মিস্টার ইন্ডিয়ার ঘড়িটা হাতে পড়েছেন। তাই ওঁকে দেখা যায়নি। এখন উনি আমাকে দেখে রাস্🍌তায় নামলেন। ভোটের পরে একেবারে রাস্তায় নেমে যাবেন।’
পালটা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দীপ্সিতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘কি করে দেখতে পাবে। আসলে ওতো মিস ইউনিভার্স। নিজেকে সোফিয়া লরেন ভাবা এখন থেকে শুরু করে দিয়েছে। সবাই দেখতে পাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীপ্সিতা কোনও আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নন। হেরে ভূত হয়ে যাবে। আবার চলে যাবে।’ সিপিএমকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওরা হল নতুন বোতলে পুরনো মদ। আসলে সিপিএম সিপিএমেই আছে। বোতলটার এ𝓀খন ব্রান্ডিং হয়েছে কমরেড জেএনইউ। ও এরকম ভাবেই চালিয়ে যাবে। আর আমাকে বলে যেতে হবে।’ এদিন আবার রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র সংগীত গাইতেও শোনা যায় কল্যাণকে।