চণ্ডীগড় লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মণীশ তিওয়ারির সমর্থনে ভোটারদের উদ্দেশে 'খোলা চিঠি' লিখেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। সেই চিঠির ওপর এবার নজর পড়ল নির্বাচন কমিশনের। অভিযোগ, মনমোহন সিংয়ের সেই চিঠিতে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মণীশ তিওয়ারির সমর্থনে মনমোহনের সেই খোলা চিঠি আদতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের আকারে ছাপানো হয়েছিল। এদিকে সেই চিঠিতে সরকারি প্রতীক ছিল। যা থাকার কথা নয়। (আরও পড়ুন: ꦐCAA-তে নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভারতে ভোট দিয়েছেন বাংলার বিকাশ-শান্তিলতারা!)
আরও পড়ুন: ཧমধ্যরাতে EVM কারচুপির চেষ্টা করছিল আইপ্যাক, এবার তমলুকে গুরুতর অভিযোগ অভিজিতের
ꦛএদিকে মনমোহনের লেখা সেই খোলা চিঠিতে মণীশ তিওয়ারির জন্য ভোট প্রার্থনা করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞাপনে মনমোহন সিংয়ের তরফ থেকে লেখা হয়েছিল, 'মণীশ তিওয়ারি খুবই দক্ষ একজন সাংসদ। তিনি চণ্ডীগড়ের যাবতীয় সমস্যা খুব গভীরভাবে বোঝেন। তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে আগ্রহী। তিনি লোকসভায় দক্ষতার সঙ্গেই চণ্ডীগড়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি সততা এবং সহানুভূতির সাথে আপনাদের হয়ে কাজ করবেন।'
আরও পড়ুন: 🐼২১-এর ভোটে তৃণমূলকে ৪০-৫০টা আসনে কারসাজি করে জেতায় আইপ্যাক, বিস্ফোরক শুভেন্দু
♛এদিকে পঞ্জাবের ভোটারদের উদ্দেশেও একটি খোলা চিঠি লিখেছেন মনমোহন সিং। তাতে তিনি সরাসরি মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন। মনমোহন সিং নিজের চিঠিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সবচেয়ে জঘন্য ধরনের ঘৃণামূলক ভাষণে লিপ্ত হয়েছেন এই নির্বাচনের সময়ে। এই নির্বাচন চলাকালীন আমি রাজনৈতিক প্রচারগুলি অনুসরণ করছি। মোদীজি এবারে যে ঘৃণামূলক বক্তৃতা দিয়েছে তা খুবই জঘন্য ছিল। এই ভাষণের মাধ্যমে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করেন মোদী। মোদীজি আমার দেখা এমন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মর্যাদা খর্ব করেছেন। এই পদের মূল্য কমিয়ে দিয়েছেন। অতীতে কোনও প্রধানমন্ত্রী সমাজের কোনও একটি অংশকে বা বিরোধী দলকে টার্গেট করে এমন ঘৃণ্য, অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ করেননি। তিনি আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা বিবৃতিও দিয়েছেন। আমি আমার জীবনে কখনও এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায় থেকে আলাদা করে দেখিনি। এটায় শুধুমাত্র বিজেপির কপিরাইট আছে।
ꦬএদিকে সশস্ত্র বাহিনীর উপর অগ্নিবীর প্রকল্প 'চাপিয়ে দেওয়ার' জন্যও বিজেপির সমালোচনা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। এই আবহে মনমোহন তাঁর চিঠিতে লেখেন, 'অগ্নিবীর প্রকল্প জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে। কংগ্রেস তাই অগ্নিবীর প্রকল্প বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।' মনমোহনের কথায়, সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে মাতৃভূমির সেবা করার স্বপ্ন দেখা পঞ্জাবি কৃষকের ছেলেরা এখন সেনায় যাওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। তারা ৪ বছরের জন্য চাকরি পাওয়ার জন্যে এই নিয়োগ পাওয়ার আগে দু'বার ভাবছেন। যাঁরা সেনায় যাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এই বর্তমান সরকার বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।