বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের তালিকা যাতে আইপ্যাক এবং পুলিশের হাতে না যায়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব নেওয়ার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অপরদিকে ভোট গণনাকেন্দ্রে আইপ্যাকের কেউ ঢুকলে ধোলাই দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, একুশের বিধানসভা ভোটে গণনা কেন্দ্রে আইপ্যাকের লোক ঢুকে পড়েছিল। এর জেরে বাংলায় ৪০ থেকে ৫০টি বিধানসভা আসনে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছিল বলে বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। (আরও পড়ুন: ꩲবিবেকানন্দ রকে মোদীর ধ্যানে কি ভঙ্গ হচ্ছে আদর্শ আচরণবিধি? বড় কথা জানাল কমিশন)
আরও পড়ুন: 𒈔বাংলায় মোদীর থেকে ৪.৫ গুণ বেশি মার্কস পেলেন মমতা, তবে হারলেন শুভেন্দুর কাছে
উল্লেখ্য, ভোটগণনার আগে বিজেপির এজেন্টদের গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে গতরাতে নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অভিযাোগ করেন, ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের অন্তত ৫০ জন কর্মীকে বিনা পরোয়ানা বা বৈধ নথিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভোটগণনার আগেও তৃণমূল কংগ্রেস এমনটা করতে পারে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে শুভেন্দু জানান, ১ জুন ভোট সম্পন্ন হওয়ার পরে নির্বাচন আধিকারিকের হাতে বিজেপির কাউন্টিং এজেন্টদের তালিকা তুলে দেওয়া হবে। তবে তৃণমূলের সরকার যাতে পুলিশকে ব্যবহার করে সেই তালিকা না হাতাতে পারে এবং বিজেপির এজেন্টদের গ্রেফতার না করা হয়, তার জন্য কমিশনের কাছে নিরাপত্তা প্রদানের দাবি জানান শুভেন্দু। (আরও পড়ুন: 🌜CAA-তে নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ভারতে ভোট দিয়েছেন বাংলার বিকাশ-শান্তিলতারা!)
আরও পড়ুন: 🎐বাংলায় প্রবেশ বর্ষার, টানা ভারী বৃষ্টির হবে বহু জেলায়, জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
🍬শুভেন্দু বলেন, 'ষষ্ঠ দফায় কোনও পরোয়ানা ছাড়া বিজেপির কর্মীদের আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে কাউকে ভুয়ো মামলাতেও ফাঁসানো হয়েছে। নন্দীগ্রামের ধনঞ্জয় মণ্ডলের মতো একাধিক কর্মীর নাম তো এফআইআরেও নেই। আমাদের অনেক পোলিং এজেন্টকে আটক করে রাখা হয়েছিল। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তাঁদের ছাড়া হয়েছে। শেষ দফায় নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়টি দেখতে হবে।' নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, গণনার ৭২ ঘণ্টা আগে কাউন্টিং এজেন্টের নাম দিতে হয়। কিন্তু কিছু রিটার্নিং অফিসার ৩০তারিখের মধ্যে এজেন্টদের নামের তালিকা চাইছেন। এত তাড়াহুড়ো কিসের? এজেন্টদের তালিকা নিয়ে আসলে ওরা গ্রেফতার করতে চায়। কাউকে কাউকে টাকা দিয়ে কিনেও নিতে পারে। আমরা বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। সিইও আমাদের বলেছেন, ১ তারিখের আগে এজেন্টের নামের তালিকা কাউকে দেওয়ার দরকার নেই। গোপনীয়তা বজায় রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কোনও এজেন্টের নাম বাইরে আসবে না।'