গ্যাসের দাম ফ্রি করে দিলে ৪২ আসন থেকে প্রার্থী তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের এই কথায় একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাংলায়। এমনকী এনিয়ে সেভাবে আর বলার কোনও কথা পাচ্ছেন না তাবড় বিজেপি নেতা। আর ভোট বাজারে এনিয়ে বাজার গরম করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেই গ্যাসের দাম নিয়ে এবার বিরাট প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার উলুবেড়িয়ার সভা থেকে শুভেন্দু এবার একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেন। আর সেই প্রতিশ্রুতির মধ্য়ে অন্যতম হল গ্যাসের দাম কমানো। শুভেন্দু বলেন, আমরা বিজেপি কথা দিচ্ছি যেদিন রাজ্য়ে বিজেপি সরকার হবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনব। এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর হবে ওএমআর অনুসারে হবে, লক্ষ্মীভাণ্ডারের নাম বদলাব, অন্নপূর্ণ ভাণ্ডার তৈরি করব, ৩ হাজার টাকা করে দেব। আর সেই সঙ্গেই বিরাট প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকায় গ্যাস দেব। ফ্রিতে না হলেও গ্যাসের দাম যেভাবে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। সেই সঙ্গেই সিএএ নিয়েও বড় আশ্বাস দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ৩ সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে সিএএ লাগু করার পরে। কার কার নাগরিকত্ব গিয়েছে? কোন সংখ্য়ালঘুর নাগরিকত্ব গিয়েছে? যায়নি। যেটা অমিত শাহ বলেছেন, সিএএ নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। ৩ কোটি বাঙালি উদ্বাস্তু যারা বাংলাদেশ থেকে এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য় হয়েছিলেন, আমার মা ও এসেছিলেন, …আজকে এই ৩ কোটি মানুষকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। এর সঙ্গে নাগরিকত্ব কাড়ার কোনও ব্যাাপার নেই। অন্যদিকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী কার্যত সমস্ত সম্প্রদায়ের মন ভেজাতে নানা কৌশল নেন। তিনি বলেন, নওশাল সিদ্দিকির টুপিটা আমরা টানিনি। কেন্দ্রীয় পুলিশ টানেনি। এই রাজ্য়ের পুলিশ তাকে জেলে বন্দি করে রেখেছিল। আর কয়েকদিন আগে যে বাড়িটা গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল তাতে চাপা পড়েছিলেন ১২জন গরিব সংখ্য়ালঘু মানুষ। তাই এবারও যদি ঝাঁক বেঁধে গিয়ে জোড়াফুলে ভোটটা দেন তাহলে এত বড় ভুল আর হবে না।শুভেন্দু বলেন, নরেন্দ্র মোদী আরামবাগের সভায় বলে গিয়েছিলেন আপনারা এত সিট জিতিয়ে দেন বিজেপিকে যাতে বিধানসভা ভোটে আর লড়তে না হয়। লোকসভাতেই বিধানসভার ফলাফল হয়ে যায়। মানুষ বুঝে যায় এই সরকার আর না, এই তৃণমূল আর না।